এক সময়, নিমকাঠি ছিল দাঁত পরিষ্কারের প্রধান হাতিয়ার। আধুনিক টুথব্রাশের আবির্ভাবের পরও, অনেকেই নিমকাঠির উপকারিতা বিশ্বাস করে এর ব্যবহার চালিয়ে যান।
পুষ্টিবিদদের মতে, নিমকাঠিতে এক ধরনের তৈলাক্ত পদার্থ থাকে যা ক্ষতিকর ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে পারে।
দাঁতের জন্য উপকারিতা:
মাড়ি শক্ত করে: নিমকাঠির অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণাবলী মাড়ির सूजन কমাতে সাহায্য করে এবং মাড়িকে শক্ত করে তোলে।
প্লাক ও ব্যাকটেরিয়া দূর করে: নিমকাঠি ব্যবহার দাঁতের পৃষ্ঠ থেকে প্লাক ও ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে, যা দাঁতের ক্ষয় ও মাড়ির রোগ প্রতিরোধ করে।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করে: নিমকাঠির অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণাবলী মুখের দুর্গন্ধের কারণとなる ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে।
দাঁত সাদা করে: নিমকাঠি নিয়মিত ব্যবহার দাঁতের স্বাভাবিক সাদা রঙ ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
ব্যবহারের নিয়ম:
নিম ডাল ভালো করে ধুয়ে নিন: ব্যবহারের আগে নিম ডাল ভালো করে ধুয়ে নিন।
ডাল ভেঙে নিন: ব্যবহারের জন্য গাছের ডালকে অবশ্যই ভালো করে ভেঙে নিতে হবে।
সরিষার তেল ও লবণ ব্যবহার করুন: নিমডাল ব্যবহারের আগে সরিষার তেল ও লবণ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করা বাঞ্ছনীয়।
বেশি জোরে ঘষবেন না: নিম ডাল দিয়ে দাঁত মাজার সময় খুব বেশি জোরে ঘষবেন না কারণ এতে মাড়িতে আঘাত লাগতে পারে।
নিয়মিত ব্যবহার করুন: নিয়মিত ব্যবহার না করলে পূর্ণ উপকার পাওয়া যাবে না।
নিমকাঠি দাঁতের জন্য একটি প্রাকৃতিক ও উপকারী সমাধান। নিয়মিত ব্যবহারে দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখা সম্ভব। তবে, ব্যবহারের সময় সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!