রুসলান হোসেনের জীবন বডি বিল্ডিং দ্বারা গঠিত। 2005 সালে মাত্র 17 বছর বয়সে জিমে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। প্রথম কয়েক মাসের মধ্যেই তিনি ব্যাপক পরিবর্তন দেখতে শুরু করেন। তার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায় এবং তিনি একটি প্রতিযোগিতায় শীর্ষ 4-এ স্থান পান। এই সাফল্য তাকে বডি বিল্ডিংয়ে আরও বেশি নিবেদিত করে তোলে।
রুসলান হোসেনের সাফল্য তাকে বাংলাদেশের অন্যতম উল্লেখযোগ্য ফিটনেস ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে। তার স্টুডিও, রুসলান স্টুডিও, 9,000 জনেরও বেশি মানুষের জীবন স্পর্শ করেছে। স্টুডিওটি পেশাদার বডি বিল্ডিং ক্রীড়াবিদদেরও প্রশিক্ষণ দেয়।
রুসলান হোসেনের লক্ষ্য হল তার স্টুডিওকে আন্তর্জাতিকভাবে নিয়ে যাওয়া। তিনি বিশ্বাস করেন যে বাংলাদেশের বডি বিল্ডিং সম্প্রদায়ের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ। রুসলান হোসেনের ব্যবসায়িক প্রসার তার প্রাথমিক ক্লায়েন্টদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিল, যারা ছিলেন অভিজাত কর্পোরেট এক্সিকিউটিভ। তারা তাকে স্কেল বাড়ানোর জন্য উৎসাহিত করেছিল, তাই তিনি মহাখালীতে তার 800 বর্গফুটের রুমে 2500 বর্গফুট জায়গা নেন। কয়েক বছর পর, তিনি বনানী 11-এ একটি নতুন আউটলেট খোলেন।
রুসলানের ব্যবসায়িক প্রসার তার পরিবারের সমর্থন ছাড়া সম্ভব হত না। তার স্ত্রী এবং বাবা-মা সবসময় তার পাশে ছিলেন। তিনি প্রশিক্ষকদের একটি পুল প্রশিক্ষণও শুরু করেন যাতে তারা অপারেশনে সাহায্য করতে পারে।
গ্রাহকদের কাছ থেকে রুসলানের ব্যবসায়িক প্রসার সম্পর্কে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া আসে। তার সদস্যতা ক্রমবর্ধমান এবং বৃদ্ধি পেতে থাকে, এবং তিনি ধানমন্ডিতে একটি দ্বিতীয় আউটলেট খোলার সিদ্ধান্ত নেন।
দুটি শাখার মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়, এবং রুসলান তার ব্যবসায়িক প্রসারকে আরও এগিয়ে নিতে চান। মহামারীর উচ্চতায়, যখন সবাই অনিশ্চিত ছিল, তিনি তার সবচেয়ে বড় জুয়া খেলেন যখন তিনি বনানী আউটলেটটি সম্পূর্ণরূপে সংস্কার করার সিদ্ধান্ত নেন। নতুন সেটআপটি তার উভয় আউটলেটকে সারিবদ্ধ করে।
রুসলানের ব্যবসায়িক প্রসার একটি অনুপ্রেরণামূলক গল্প। তিনি কঠোর পরিশ্রম এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধতার মাধ্যমে সাফল্য অর্জন করেছেন। তার গল্প অন্যদের তাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য অনুপ্রাণিত করতে পারে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!