নাক ডাকা একটি সাধারণ সমস্যা, যা শুধু বিরক্তিকর নয় বরং আপনার এবং আপনার সঙ্গীর ঘুমের মানকে প্রভাবিত করতে পারে। অনেক সময় এটি স্বাস্থ্যগত গুরুতর সমস্যারও ইঙ্গিত দেয়, যেমন স্লিপ অ্যাপনিয়া। তবে কিছু সহজ পদ্ধতি অনুসরণ করে এই সমস্যা কমানো সম্ভব। নাক ডাকা কমানোর কার্যকরী উপায়গুলো তুলে ধরা হলো:
১. ঘুমের অবস্থান পরিবর্তন করুন
চিৎ হয়ে ঘুমানো নাক ডাকার সম্ভাবনা বাড়ায়। তাই পাশ ফিরে শোওয়া চেষ্টা করুন। পিঠে বল বা বালিশ রাখলে চিৎ হয়ে শোয়ার অভ্যাস বদলাতে সাহায্য হবে।
২. ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন
অতিরিক্ত ওজন ঘাড়ে মাংসপেশি বৃদ্ধি করে, যা শ্বাসনালী সংকীর্ণ করে। তাই ওজন কমালে নাক ডাকার সমস্যা হ্রাস পেতে পারে।
৩. নাক পরিষ্কার রাখুন । নাক বন্ধ থাকলে মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে হয়, যা নাক ডাকার সম্ভাবনা বাড়ায়। ঘুমানোর আগে নাসাল স্প্রে বা স্যালাইন ওয়াশ ব্যবহার করে নাক পরিষ্কার করুন।
৪. আর্দ্র পরিবেশে ঘুমান
শুষ্ক পরিবেশ গলার টিস্যু শুষ্ক করে, ফলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। ঘরের বাতাস আর্দ্র রাখতে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন।
৫. ধূমপান এবং অ্যালকোহল এড়ান
ধূমপান গলা ও শ্বাসনালীতে প্রদাহ সৃষ্টি করে, যা নাক ডাকার কারণ। অ্যালকোহল পেশিকে শিথিল করে, তাই এগুলো থেকে বিরত থাকুন।
৬. রাতে ভারী খাবার এড়ান
ঘুমানোর আগে ভারী খাবার খেলে শ্বাসনালীতে মিউকাস জমতে পারে। অন্তত ৩ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।
৭. স্লিপিং পজিশনের বালিশ ব্যবহার করুন
‘অ্যান্টি-স্নোর পিলো’ ব্যবহার করলে ঘাড় এবং মাথার অবস্থান সঠিক থাকে, যা নাক ডাকা কমায়।
৮. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন
পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব পেশিগুলিকে অস্বাভাবিকভাবে শিথিল করে। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা উচিত।
নাক ডাকা কেবল বিরক্তির কারণ নয়, এটি কখনও কখনও গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণও হতে পারে। তাই উপরের পরামর্শগুলো অনুসরণ করে আপনার এবং আপনার সঙ্গীর ঘুমের মান উন্নত করতে পারেন। সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!