স্বাভাবিক চুল পড়া:
প্রতিদিন ১০০ থেকে ১২৫টি চুল পড়া স্বাভাবিক।চুলের একটি নির্দিষ্ট জীবনকাল থাকে এবং নিয়মিত ঝরে নতুন চুল গজায়।
অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ:
পুষ্টির অভাব:
প্রোটিন, আয়রন, জিঙ্ক, ভিটামিন বি, ডি এবং সি-এর ঘাটতি চুল পড়ার কারণ হতে পারে।অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ক্র্যাশ ডায়েট, খাদ্যাভ্যাসজনিত রোগ (যেমন অ্যানোরেক্সিয়া বা বুলিমিয়া) এর ফলে পুষ্টির ঘাটতি হতে পারে।
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা:
পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS), মেনোপজ হরমোনের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে চুল পড়তে পারে।গর্ভাবস্থা ও প্রসবের পর হরমোনের পরিবর্তনের ফলে চুল পড়তে পারে।
চুলের যত্ন:
অতিরিক্ত গরম পানিতে মাথা ধোয়া, শক্ত চিরুনি ব্যবহার, রাসায়নিক ট্রিটমেন্ট (যেমন ব্লিচিং, স্ট্রেটনিং) চুলকে দুর্বল করে ফেলে এবং চুল পড়ার কারণ হতে পারে।
চুল টানা:
অতিরিক্ত চুল টানা (যেমন ব্রেডিং, হাই পোনিটেল) চুলের গোড়া থেকে চুল উঠে যেতে পারে।
মানসিক চাপ:
অতিরিক্ত মানসিক চাপ চুল পড়ার একটি সম্ভাব্য কারণ।
অন্যান্য কারণ:
কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, অ্যালোপেসিয়া আরিয়াতা (ছোট ছোট টাক পড়া), স্ক্যাল্প ইনফেকশন চুল পড়ার কারণ হতে পারে।
চিকিৎসা:
কারণ নির্ণয়:
চিকিৎসা শুরু করার আগে চুল পড়ার কারণ নির্ণয় করা গুরুত্বপূর্ণ।
রক্ত পরীক্ষা, থাইরয়েড পরীক্ষা, স্ক্যাল্প বায়োপসি কারণ নির্ণয়ে সাহায্য করতে পারে।
চিকিৎসার বিকল্প:
কারণের উপর নির্ভর করে চিকিৎসার বিকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে:
ঔষধ (যেমন মাইনোক্সিডিল, স্পিরোনোল্যাক্টোন)
লেজার থেরাপি
হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট
জীবনধারার পরিবর্তন (যেমন সুষম খাদ্য গ্রহণ, মানসিক চাপ কমানো)
চুলের যত্নের নিয়ম মেনে চলা
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!