logo

যোগাযোগের ঠিকানাঃ

House-1, Road-2, Metro Housing Ltd, (Beside RAB-2 Headquarter), Mohammadpur, Dhaka-1207

নিউজ রুম

+8801711701332, +8801766004470

মার্কেটিং এন্ড সেলস

+8801877756675

logo

BDCN24 হল সংবাদ, মতামত এবং বিনোদনের জন্য একটি বাংলাদেশ ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি পাঠক এবং শ্রোতাদের রাখার জন্য একটি ২৪/৭/৩৬৫ এর প্ল্যাটফর্ম

যোগাযোগের ঠিকানাঃ

House-1, Road-2, Metro Housing Ltd, (Beside RAB-2 Headquarter), Mohammadpur, Dhaka-1207

নিউজ রুম

+8801711701332, +8801766004470

মার্কেটিং এন্ড সেলস

+8801877756675

হোম - সারা দেশ- শিক্ষাঙ্গনে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি: কেন এটি বন্ধ করা জরুরি?

শিক্ষাঙ্গনে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি: কেন এটি বন্ধ করা জরুরি?

শিক্ষাঙ্গনে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি: কেন এটি বন্ধ করা জরুরি । ছবি সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ খান সম্প্রতি একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে শিক্ষাঙ্গনে ছাত্ররাজনীতির ব্যাপক বিস্তারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ১৩ মার্চ তাঁর টাইমলাইনে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, ‘যেখানে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি সীমিত বা নিষিদ্ধ হচ্ছে, সেখানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এ কর্মকাণ্ড যেন দিনে দিনে আরও ব্যাপকতা লাভ করছে। ক্যাম্পাসে, হলে সর্বত্র এর সরব উপস্থিতি লক্ষণীয়! অথচ এ ক্যাম্পাস বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সূতিকাগার ছিল, যাদের অন্যতম দাবি ছিল ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা।’


তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সেই পুরোনো চেহারা দেখতে চাই না। এ ক্যাম্পাসে ছাত্রসংগঠনগুলোর রক্তক্ষয়ী ও প্রাণঘাতী আন্তসংঘাতের ইতিহাস বড়ই হৃদয়বিদারক এবং কলঙ্কের! একজন সাধারণ শিক্ষক হিসেবে আমি কিছুটা উদ্বিগ্ন। অন্তত হলে হলে ছাত্রসংগঠনের ব্যানারে কর্মসূচি সে যে নামেই হোক, যে উদ্দেশ্য নিয়েই হোক নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন।’


ছাত্ররাজনীতির বর্তমান চিত্র

আরও পড়ুন

লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি থেকে ক্যাম্পাসকে মুক্ত রাখতে বাকসু নির্বাচনের দাবি ববি শিক্ষার্থীদের

লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি থেকে ক্যাম্পাসকে মুক্ত রাখতে বাকসু নির্বাচনের দাবি ববি শিক্ষার্থীদের। ছবি সংগৃহীত

শুধু অধ্যাপক ফরিদ খান নন, ৫ আগস্ট–পরবর্তী ছাত্ররাজনীতির পুরোনো রূপ ফিরে আসতে দেখে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক থেকে শুরু করে সচেতন শিক্ষক মহল পর্যন্ত সবাই উদ্বিগ্ন। সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যে অস্থিরতা ও সহিংসতার চিত্র ফুটে উঠেছে, তা নতুন করে এ ইস্যুতে ভাবতে বাধ্য করছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের মূল দাবিগুলোর মধ্যে একটি ছিল ‘লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা।’


শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রসংগঠনগুলোর আধিপত্য, হলে দখলদারি, চাঁদাবাজি ও সহিংসতা অতীতেও বারবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, সরকার পরিবর্তনের পরও এ চিত্রের বিশেষ কোনো পরিবর্তন আসেনি। যদিও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ও সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করেছিল, কিন্তু ছাত্ররাজনীতির মৌলিক কাঠামো রয়ে গেছে আগের মতোই।


কেন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা যাচ্ছে না?


বিশ্লেষকদের মতে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে গড়ে ওঠা নতুন রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর জাতীয় রাজনীতিতে প্রবেশের আগ্রহের কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়নি। তাঁরা যখন লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি তুলেছিলেন, তখন হয়তো তাঁরা কল্পনাও করেননি যে ভবিষ্যতে তাঁদের জাতীয় রাজনীতিতে অবস্থান তৈরি হবে।


ফলে, নতুন রাজনৈতিক শক্তিগুলোর বিকাশের স্বার্থেই ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অথচ একসময় যারা শিক্ষাঙ্গনে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত পরিবেশ চেয়েছিল, তারাই এখন ছাত্ররাজনীতিকে টিকিয়ে রাখার জন্য সুবিধা নিচ্ছে।


কী করা উচিত?


আমরা বিশ্বাস করি, সরকারকে দ্রুত শিক্ষাঙ্গনে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করতে হবে। তবে একেবারে নিষিদ্ধ করার পরিবর্তে তিনটি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে:


১. দলীয় রাজনৈতিক কর্মসূচি নিষিদ্ধকরণ: জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলোর ছাত্রসংগঠনগুলো ক্যাম্পাসে কোনো দলীয় কর্মসূচি, মিছিল-সমাবেশ বা শোডাউন করতে পারবে না।
2. সহিংসতায় শাস্তি: কোনো ছাত্রসংগঠন ক্যাম্পাসে সহিংসতা বা দখলদারির চেষ্টা করলে সংগঠনটি অন্তত দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ থাকবে এবং জড়িতদের ছাত্রত্ব বাতিল করা হবে।
3. ছাত্র সংসদ পুনরায় চালু করা: ছাত্ররাজনীতির পরিবর্তে গণতান্ত্রিক চর্চার জন্য ছাত্র সংসদের কার্যক্রম পুনরায় চালু করতে হবে, যেখানে শিক্ষার্থীরা তাঁদের নেতা বেছে নিতে পারবে।


যদি এসব ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তাহলে শিক্ষাঙ্গনে সহিংসতা আরও বাড়বে, মেধার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে এবং দেশের উচ্চশিক্ষার মান ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এখনই সময় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার, যাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো প্রকৃত অর্থেই শিক্ষার কেন্দ্রে পরিণত হয়।

মন্তব্য করুন ( 0 )

মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!

আরও খবর দেখুন

শিক্ষাঙ্গনে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি: কেন এটি বন্ধ করা জরুরি?

বিডিসিএন ২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি

image

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ খান সম্প্রতি একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে শিক্ষাঙ্গনে ছাত্ররাজনীতির ব্যাপক বিস্তারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ১৩ মার্চ তাঁর টাইমলাইনে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, ‘যেখানে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি সীমিত বা নিষিদ্ধ হচ্ছে, সেখানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এ কর্মকাণ্ড যেন দিনে দিনে আরও ব্যাপকতা লাভ করছে। ক্যাম্পাসে, হলে সর্বত্র এর

সরব উপস্থিতি লক্ষণীয়! অথচ এ ক্যাম্পাস বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সূতিকাগার ছিল, যাদের অন্যতম দাবি ছিল ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা।’


তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সেই পুরোনো চেহারা দেখতে চাই না। এ ক্যাম্পাসে ছাত্রসংগঠনগুলোর রক্তক্ষয়ী ও প্রাণঘাতী আন্তসংঘাতের ইতিহাস বড়ই হৃদয়বিদারক এবং কলঙ্কের! একজন সাধারণ শিক্ষক হিসেবে আমি কিছুটা উদ্বিগ্ন। অন্তত হলে হলে ছাত্রসংগঠনের ব্যানারে কর্মসূচি সে যে নামেই হোক, যে উদ্দেশ্য নিয়েই হোক নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন।’


ছাত্ররাজনীতির বর্তমান চিত্র