চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী রেয়াজুদ্দিন বাজার, প্রায় ১৩০ বছর ধরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের আকর্ষণ করে আসছে। ঈদের আগমনে এই বাজারে যেন এক অন্য উৎসবের আমেজ। জীবনধারণের সকল প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের পাশাপাশি, ঈদের সাজসজ্জা, পোশাক, এবং অন্যান্য অনুষঙ্গের জন্যও রেয়াজুদ্দিন বাজার ক্রেতাদের কাছে এক আকর্ষণীয় স্থান।
ব্র্যান্ডেড জামাকাপড়, জুতা, প্যান্ট, লুঙ্গি, সুই-সুতা, দা-বঁটি, কসমেটিকস - সকল কিছুই এখানে একসাথে পাওয়া যায়। কেবল দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশেও রপ্তানি হয় এই বাজারের পণ্য। নিম্ন-মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছেই এটি একটি নির্ভরযোগ্য বাজার।
বিশাল আকার: প্রায় ১০ হাজার দোকান এবং ৩০ হাজার কর্মচারী নিয়ে গঠিত এই বাজার।
বৈচিত্র্য: ঈদের সকল পণ্য, যেমন রেডিমেড ও সেলাই করা কাপড়, শাড়ি, থ্রিপিস, শার্ট, প্যান্ট, জুতা, পাঞ্জাবি, লুঙ্গি, প্রসাধনী, আসবাবপত্র, সুই-সুতা, ঝাড়ু, জুয়েলারি ইত্যাদি এখানে পাওয়া যায়।
ন্যায্যমূল্য: বিক্রেতারা পণ্যের অতিরিক্ত মূল্য দাবি করেন না, ফলে ক্রেতারা ন্যায্যমূল্যে ভালো পণ্য কিনতে পারেন।
সুবিধা: সার্বক্ষণিক আলো, সুবিস্তৃত পার্কিং ব্যবস্থা, নিরাপত্তার জন্য সিএমপি, কমিউনিটি পুলিশ এবং ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থা রয়েছে।
পোশাক: ভারতীয় ও দেশি পাথরের কাজ করা শাড়ি, বাহারি কাতান শাড়ি, লেহেঙ্গা, রাজশাহী সিল্ক, জামদানি শাড়ি, নায়িকাদের নামে বর্ণিল ডিজাইনের জামা ইত্যাদি।
অন্যান্য: ঝাড়বাতি, লণ্ঠন, আলোকসজ্জার সরঞ্জাম, খেলনা, ঈদের শুভেচ্ছা কার্ড ইত্যাদি।
অবস্থান: চট্টগ্রাম শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত।
প্রবেশপথ: ১০টি প্রবেশপথ রয়েছে।
সময়: সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বাজার খোলা থাকে।
ঈদের কেনাকাটার জন্য রেয়াজুদ্দিন বাজার একটি আদর্শ স্থান। পণ্যের বৈচিত্র্য, ন্যায্যমূল্য, এবং সুবিধাজনক পরিবেশ ক্রেতাদের আকর্ষণ করে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!