logo

যোগাযোগের ঠিকানাঃ

House-1, Road-2, Metro Housing Ltd, (Beside RAB-2 Headquarter), Mohammadpur, Dhaka-1207

নিউজ রুম

+8801711701332, +8801766004470

মার্কেটিং এন্ড সেলস

+8801877756675

logo

BDCN24 হল সংবাদ, মতামত এবং বিনোদনের জন্য একটি বাংলাদেশ ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি পাঠক এবং শ্রোতাদের রাখার জন্য একটি ২৪/৭/৩৬৫ এর প্ল্যাটফর্ম

যোগাযোগের ঠিকানাঃ

House-1, Road-2, Metro Housing Ltd, (Beside RAB-2 Headquarter), Mohammadpur, Dhaka-1207

নিউজ রুম

+8801711701332, +8801766004470

মার্কেটিং এন্ড সেলস

+8801877756675

হোম - সারা দেশ- মুক্তিযুদ্ধের অজানা গল্প সংরক্ষণে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অনন্য উদ্যোগ

মুক্তিযুদ্ধের অজানা গল্প সংরক্ষণে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অনন্য উদ্যোগ

মুক্তিযুদ্ধের অজানা গল্প সংরক্ষণে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অনন্য উদ্যোগ । ছবি সংগৃহীত

ঢাকা, ২৫ মার্চ: ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বিভীষিকাময় দিনগুলোতে সারাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনা ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ হয়নি। সেইসব অনালোচিত ঘটনার স্মৃতি ধরে রাখার লক্ষ্যে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।


প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে সংগ্রহ করেছে ৫৫ হাজারের বেশি মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষদর্শী ভাষ্য। এই বিশাল আর্কাইভের অন্তর্ভুক্ত একটি ঘটনা মানিকগঞ্জের তরা ঘাটের—যেখানে একদল নিরীহ মানুষের হাতে লোহার পেরেক গুঁজে, পা বেঁধে নদীতে ফেলে দিয়েছিল পাকিস্তানি বাহিনী। এই নির্মম ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন মো. মাইন উদ্দিন। মুক্তিযুদ্ধের সেই দিনগুলোর অনেক স্মৃতিই থেকে গেছে অগোচরে, যেগুলো সংরক্ষণের চেষ্টা চালাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।


তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ


মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে তরুণ প্রজন্মের কাছে আরও জীবন্ত করে তুলতে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর বছরব্যাপী চালিয়ে যাচ্ছে একাধিক কর্মসূচি। ‘ছাত্র-ছাত্রীদের সংগৃহীত মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষদর্শী-ভাষ্য’ কর্মসূচির আওতায় ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে ১২ খণ্ডের সংকলন, যেখানে স্থান পেয়েছে প্রায় দুই হাজারের বেশি ঘটনার বিবরণ। শিক্ষার্থীদের হাত ধরে উঠে আসা এসব গল্প আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অজানা অধ্যায়গুলোর সাক্ষী হয়ে থাকবে।


আউটরিচ ও রিচ আউট কর্মসূচি


মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম সফল দুটি উদ্যোগ হলো ‘আউটরিচ’ ও ‘রিচ আউট’ কর্মসূচি।


আউটরিচ কর্মসূচির মাধ্যমে রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর পরিদর্শনের সুযোগ করে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন

কুবিতে কুইজ সোসাইটির কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

কুবিতে কুইজ সোসাইটির কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

রিচ আউট কর্মসূচির অধীনে জাদুঘরের দুটি ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। এই উদ্যোগের ফলে ইতোমধ্যে ১৫ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পৌঁছে গেছে।


জাদুঘর পরিদর্শন ও গবেষণা কেন্দ্র


রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে ১৫ হাজারের বেশি স্মারক। চারটি গ্যালারিতে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবাহী এসব নিদর্শনের মধ্যে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রী, বিরল আলোকচিত্র, সরকারি নথি ও চিঠিপত্র।


শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আরও গভীরভাবে জানার সুযোগ দিতে বিনামূল্যে জাদুঘর পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে ‘বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাস’ শিরোনামে তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।


ভ্রাম্যমাণ জাদুঘরের ভূমিকা


প্রতিষ্ঠানের দুটি ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর দেশের প্রতিটি জেলায় এক মাস করে অবস্থান করে। এ সময় জেলার বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধের নিদর্শনগুলো দেখার সুযোগ পান। প্রতিটি ভ্রাম্যমাণ জাদুঘরের সঙ্গে থাকেন একজন শিক্ষক, যিনি শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

আরও পড়ুন

আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম পৌঁছে দিব,,, সুজিত রায় নন্দী

আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম পৌঁছে দিব,,, সুজিত রায় নন্দী

আলী যাকের মুক্তিযুদ্ধের গ্রন্থপাঠ কর্মসূচি


বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম কণ্ঠযোদ্ধা প্রয়াত আলী যাকেরের স্মরণে চালু হয়েছে ‘আলী যাকের মুক্তিযুদ্ধের গ্রন্থপাঠ’ কর্মসূচি। এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বই পাঠে উদ্বুদ্ধ করা হয় এবং একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। গত বছর এ কর্মসূচিতে সারা দেশের ৫৪টি পাঠাগারের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।


মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণে নিরলস প্রচেষ্টা


মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম জানান, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মৌখিক ইতিহাস সংরক্ষণের দিক থেকে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংরক্ষণাগার। এর চেয়েও বেশি সংগ্রহ সম্ভবত হলোকাস্ট মিউজিয়ামের নেই।


মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি সারওয়ার আলী বলেন, “আমাদের দায়িত্ব মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া। এই লক্ষ্যেই আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।”


সারাদেশের তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের সংযোগ তৈরির এই প্রয়াস বাংলাদেশের ইতিহাস সংরক্ষণের এক অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।

মন্তব্য করুন ( 0 )

মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!

আরও খবর দেখুন

মুক্তিযুদ্ধের অজানা গল্প সংরক্ষণে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অনন্য উদ্যোগ

বিডিসিএন ২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি

image

ঢাকা, ২৫ মার্চ: ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বিভীষিকাময় দিনগুলোতে সারাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনা ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ হয়নি। সেইসব অনালোচিত ঘটনার স্মৃতি ধরে রাখার লক্ষ্যে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।


প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে সংগ্রহ করেছে ৫৫ হাজারের বেশি মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষদর্শী ভাষ্য। এই বিশাল আর্কাইভের অন্তর্ভুক্ত একটি

ঘটনা মানিকগঞ্জের তরা ঘাটের—যেখানে একদল নিরীহ মানুষের হাতে লোহার পেরেক গুঁজে, পা বেঁধে নদীতে ফেলে দিয়েছিল পাকিস্তানি বাহিনী। এই নির্মম ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন মো. মাইন উদ্দিন। মুক্তিযুদ্ধের সেই দিনগুলোর অনেক স্মৃতিই থেকে গেছে অগোচরে, যেগুলো সংরক্ষণের চেষ্টা চালাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।


তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ


মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে তরুণ প্রজন্মের কাছে আরও জীবন্ত করে তুলতে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর বছরব্যাপী চালিয়ে যাচ্ছে একাধিক কর্মসূচি। ‘ছাত্র-ছাত্রীদের সংগৃহীত মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষদর্শী-ভাষ্য’ কর্মসূচির আওতায় ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে ১২ খণ্ডের সংকলন, যেখানে স্থান পেয়েছে প্রায় দুই হাজারের বেশি ঘটনার বিবরণ। শিক্ষার্থীদের হাত ধরে উঠে আসা এসব গল্প আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অজানা অধ্যায়গুলোর সাক্ষী হয়ে থাকবে।


আউটরিচ ও রিচ আউট কর্মসূচি


মুক্তিযুদ্ধ