স্টাফ রিপোর্টার | ১০ মে ২০২৫
ব্যাংক পরিচালকদের জন্য ঋণ গ্রহণের শর্ত আরও কঠোর করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার (৯ মে) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন নির্দেশনায় পরিচালকদের সরাসরি বা পরোক্ষভাবে নেওয়া ঋণ, এমনকি বেনামি ঋণও কঠোর নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কোনো ব্যাংকের পরিচালক এখন থেকে ওই ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধনের ৫০ শতাংশের বেশি ঋণ নিতে পারবেন না। এক কোটি টাকার বেশি ঋণ নিতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি বাধ্যতামূলক। একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে পরিচালকের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, এমনকি বেনামি সুবিধাভোগীদের ক্ষেত্রেও। ফলে বেনামি ঋণের অপব্যবহার রোধে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে বিশ্লেষকেরা।
এছাড়া টিয়ার-১ মূলধনের ১০ শতাংশের বেশি কোনো ঋণ পরিচালকের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কোনো একক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া যাবে না। এই সীমা অতিক্রম করলে ব্যাংককে অবিলম্বে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হবে এবং সংশোধনের জন্য পরিকল্পনা জমা দিতে হবে।
নতুন নীতিমালায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, কোনো ঋণ সীমা অতিক্রম করলে তা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া নবায়ন, পরিবর্তন বা শর্ত সংশোধন করা যাবে না।
পরিচালকদের ৫০ লাখ টাকার বেশি প্রত্যক্ষ ঋণ বা এক কোটি টাকার বেশি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ঋণের ক্ষেত্রে অনুমতির জন্য সিআইবি রিপোর্ট, পর্ষদ অনুমোদনসহ ন্যায্য আচরণের প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে, যা জমা দিতে হবে মেয়াদ শেষ হওয়ার কমপক্ষে সাত কার্যদিবস আগে।
ব্যাংকের এমডি ও সিইওদের ক্ষেত্রেও এসেছে কঠোর বিধিনিষেধ। এখন থেকে তারা বা তাদের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠান জামানতবিহীন কোনো ঋণ বা অগ্রিম নিতে পারবে না। তারা কর্মচারী ঋণ সুবিধার আওতায়ও থাকবেন না। তবে সাধারণ শর্তে ক্রেডিট কার্ড নিতে পারবেন, যার তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংককে সাত দিন আগে জানাতে হবে। অনুমতি ছাড়া তাদের কোনো আসল বা মুনাফা মওকুফ করা যাবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী সেপ্টেম্বর থেকে পরিচালকদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ঋণের হিসাব কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক হবে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!