ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে সিএনজি অটোরিক্সার চালকেরা তারা সরকারি আইন কানুনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে তাদের নিজস্ব আইনে সিএনজি চালাচ্ছে।আজমিরীগঞ্জ উপজেলা ও বানিয়াচং উপজেলা থেকে সিলেট যাওয়ার একমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থা বানিয়াচং টু নবীগঞ্জ মেজর জেনারেল এম এ রব সড়ক।
বানিয়াচং উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটি বানিয়াচং টু নবীগঞ্জ সিএনজি অটো রিক্সার ভাড়া চল্লিশ টাকা নির্ধারণ করেন। কিন্তু সিএনজি অটো রিক্সার চালকরা তা অমান্য করে ৬০ টাকা করে ভাড়া নেয়।
বর্তমানে বানিয়াচং টু নবীগঞ্জ সরাসরি সিএনজি অটোরিক্সা যাতায়াত করে না। বানিয়াচং থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে কাগাপাশা নামক স্হানে যাত্রীদেরকে নামিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে ভাড়া নেওয়া হয় যাত্রী প্রতি ৪০ টাকা। আবার কাগাপাশা থেকে নবীগঞ্জ যাত্রীপ্রতি ভাড়া নেওয়া হয় ৩০ টাকা।
একটি সিএনজি অটো রিক্সায় ৫ জন যাত্রী বহন করে। বানিয়াচং টু নবীগঞ্জ সরাসরি যাত্রী পরিবহন না করায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।জানা যায়- বানিয়াচং সিএনজি মালিক শ্রমিক সমিতি ও নবীগঞ্জ সিএনজি মালিক শ্রমিক সমিতির মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে সিএনজি সরাসরি চলাচল করে না।এই রাস্তায় সিএনজি চলাচলের কারণে অন্য কোন গাড়িও চলাচল করে না।
এদিকে বানিয়াচং টু হবিগঞ্জ সড়কে নির্ধারিত ভাড়া ৪০ টাকা । কিন্তু সময় সময় বেঁধে সিএনজি চালকেরা ৬০ থেকে ৭০ টাকা ভাড়া আদায় করেন। এতে অনেক যাত্রীরা প্রতিবাদ করলে তখন চালকেরা ক্ষিপ্ত হন যাত্রীদের প্রতি।
চালকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে -তারা তাদের নিজস্ব আইনে চলাচল করেন।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র জানান- সিএনজি অটো রিক্সার চালকেরা এতই বেপরোয়া যে তারা কাউকেই তোয়াক্কা করে না।
এক অনুসন্ধানে জানা গেছে -সিএনজি অটোরিক্সা চালকদের মধ্যে শতকরা হারে ৯৫ জনেরই ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। একজন যাত্রী প্রশাসনও জনপ্রতিনিধির প্রতি আক্ষেপ করে বলেন-আমাদের ভোগান্তি প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কর্ণকুহরে প্রবেশ করেনি।
উল্লেখ্য,অদক্ষ চালকদের কারণে প্রায়ই ঘটছে প্রাণহাণী। ছোট খাটো দূর্ঘটনা নিত্যনৈমত্বিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা নাগরিক কমিটি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন-অদক্ষ ও লাইসেন্স বিহীন সিএনজি অটোরিক্সা চালকদের সিএনজি অটোরিকশা চালানো বন্ধ করা হোক। অন্যতায় সাধারণ মানুষ আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!