নাইম তালুকদার : সুনামগঞ্জ
দিরাই উপজেলার সরকারী হাসপাতালে বিতাড়িত সরকার আওয়ামীলীগের নেতাদের প্রভাব খাটিয়ে এখন ও বহাল তবিয়তে অবৈধ ভাবে কর্মরত আছেন দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের সিংনাথ গ্রামের যীশু রঞ্জন দাস।
যীশু আওয়ামী সরকারের প্রভাশালীর সহযোগিতা ও সুপারিশ নিয়ে নিয়ম বহিভূত জেলা সিভিল সার্জনের অর্ডার নিয়ে মাঠকর্মী থেকে অফিস সহকারী হিসেবে হাসপাতালে কর্মরত আছেন। পরবর্তী বিতাড়িত সরকারের আওয়ামীলীগের নেতার ক্ষমতাবখাটিয়ে সম্পুর্ন অবৈধ ভাবে অফিস সহকারী হিসেবে সাময়িক অনুমতি নিয়ে আসেন৷ কিন্তু জেলা সিভিল সার্জন সহ দিরাই হাসপাতালের উর্ধতন কর্মকর্তাদেরকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে তিনি অফিস সহকারী হিসেবে পেশী শক্তির বলে এখনো চাকুরী করছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বিগত তিন বছর আগে এম, এইচ বীদের বেতনের টাকা থেকে কারচুপি করে তিনি এক হাজার টাকা করে জন প্রতি আত্মসাৎ করেন। দিরাই উপজেলা স্বাহ্য কর্মকতা যীশুকে ২৭/১১/২৪ ইং তারিখে রফিনগর ইউপির ২ নং ওয়ার্ডে স্বাহ্য সহকারী কাজ করতে নির্দেশ প্রদান করলে ও যীশু কর্মকতার আদেশ অমান্য করে কর্মস্থলে যোগ দেননি। যাহা এখন শুন্য পদ থাকার কারণে এলাকার মানুষ জন স্বাহ্য সেবা থেকে বঞ্চিত আছেন।
বিভিন্ন মামলার আসামী যীশু স্বাহ্য কর্মকতার অনুমতি ছাড়া মাসের পর মাস ছুটি কাটিয়ে বিভিন্ন অপর্কমের সাথে জড়িয়ে সরকারের সকল সুবিধা ভোগ করে বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন। সে দাপটের সাথে দিরাই হাসপাতালের কালনী কোয়াটার টু দীর্ঘ দিন যাবত অনৈতিক ভাবে ব্যবহার করে বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকাণ্ড করে আসছেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে দিরাই থানায় ও আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে। সে জগদল ইউনিয়নের ০২ নং ওয়ার্ড থেকে মামলার ভয়ে দিরাই আত্মগোপন করেন। তিনি মাঠ কর্মী থাকালীন সময়ে তার বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। আরো জানা যায় , উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকতা ডাক্তার মাহবুবুর রহমানের কাছে আসলে তিনি তার অবৈধ অর্ডারের আদেশ গ্রহন করেনি।
এই যীশু সাবেক এমপি ডক্টর জয়া সেনগুপ্তা ও কালো বাজারের মহাজন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রদীপ রায়ের প্রভাব খাটিয়ে তার ইচ্ছামতে এখনো হাসপাতলে বহাল তবিয়তে আছেন। তার বিরুদ্ধে জাতীয় স্থানীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে ও কমিটি তাকে একাধারে তিনটি নোটিশ জারি করার পর তা যীশু গ্রহন করলেও সেই দূর্নীতিবাজ অভিযুক্ত যীশু তদন্ত কমিটির ডাকে এখনো সাড়া দেননি । চাকরির শুরুতে জগদল ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মাঠ কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পান বিভিন্ন মামলা ও ভয়ের কারণে পরবর্তীতে ভাটিপাড়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের দায়িত্ব নেন পরে অসুস্থতা ও বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে রাজানগর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের দায়িত্ব পেলেও, মাঠ কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন না করে যীশু রঞ্জন দাস ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাঠকর্মী থেকে অফিস সহকারী হিসাবে বহাল তবিয়তে আছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত যীশু রঞ্জন দাসের সাথে মুঠোফোনের যোগাযোগ করলে তিনি বলেন মহাপরিচালক বরাবরে আমি আপিল করেছি কোয়াটারের ভাড়া দিয়ে আমি কোয়াটারে অবস্থান করতেছি। আমার চাকুরীর ক্ষেত্রে জয়াসেন ও প্রদীপ বাবুর কোন সহযোগিতা আমি নেইনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যে সিদ্ধান্ত নিবে তা আমি মেনে নিব।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!