সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজ এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছেন বিতাড়িত আওয়ামীলীগ সরকারের জগদল ইউনিয়নের সভাপতি চোর ডাকাতের সর্দার মিজানুর রহমান চৌধুরী ছোবা মিয়া। কলিয়ারকাপন গ্রামের ফখর উদ্দিনের চার কেদারা জমি দিনের পর দিন অন্যায় ভাবে ভোগ দখল করে খাচ্ছেন ছোবা ও তার ভাই ভাতিজারা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মিজানুর রহমান ছোবা একজন ডাকাত প্রকৃতির লোক। বিগত আওয়ামীলীগের সরকারের আমলে এলাকায় যত মন্দ ও গর্হিত কাজের মূল হোতা ছিলেন তিনি। তার প্রভাবে এলাকার মানুষজন অসহায় হয়ে থাকতেন। পান থেকে চুন কষলেই শুরু হতো ছোবা বাহীনির নির্যাতন।
জগদল ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামেই রয়েছে ছোবা বাহীনি সদস্য। আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ছোবা বাহীনির সদস্যরা নারী নির্যাতনের পাশা-পাশি এলাকার হাট বাজার থেকে চাদা উত্তোলনেও লিপ্ত থাকতো। তাদের ছত্র ছায়াও চলতো মদ গাজার আসর।
এলাকাবাসী জানায়, ছোবা একজন ডাকাতের উস্তাদ,। আমরা জানি কলিয়ারকাপন গ্রামের ফখর উদ্দিনের চাপাতির হাওরে জেএল নং ১২৬ এর চার কেদারা জমির রেকর্ডীয় জায়গা পেশী শক্তির বলে দখল করে রেখেছেন ছোবা বাহিনী। এই জায়গার উপর আইনের নিষেধাজ্ঞা ১৪৪ ধারা জারি হলেও ছোবা মিয়া আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তিনি ওই জায়গা এখন দখল করে রেখেছেন। এছাড়াও বিগত কয়েকদিন আগে ফখর মিয়া'র ফসলী জমির ধানের রুপনকৃত চারা প্রায় দশ কেদারা জমি ছোবা মিয়া'র নির্দেশে উপড়িয়ে ফেলে তার বাহীনি। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে আলোচনা সমালোচন হলেও ছোবা'র টনক নড়েনি। আরো অনুসন্ধানে জানা যায়, ফ্যাসিবাদ সরকারে এমপি ড. জয়া সেন গুপ্তা ও কালোবাজারে মহাজন প্রদীপের আশীর্বাদ পুষ্ট ছিলেন ছোবা মিয়া,।
ছোবা মিয়া বিভিন্ন কৌশলে তার শালিকা দিয়ে ফাদ পাতিয়ে একজন ফ্রান্স প্রবাসীর কাছ থেকে দশ লক্ষ টাকা মুনাফা আদায় করেন। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘ ষোল বছর নারী কেলেঙ্কারি, সরকারী খাস জমি সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ফায়দা লুটাই ছিল তার কাজ। এছাড়াও এলাকায় দাঙ্গা লাগিয়ে থানা পুলিশের ভয় দেখিয়ে উভয় পক্ষ থেকে আদায় করতেন লাখ লাখ টাকা।
জগদল ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ূন রশীদ লাভলুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এবিষয়ে কোন কিছু অবগত নয়।
অভিযুক্ত মিজানুর রহমান ছোবাকে একাধিক ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!