‘ছাগল–কাণ্ডে’ বিতর্কিত হয়ে ওঠা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমান ও তাঁর প্রথম স্ত্রী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
আজ বুধবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির উপকমিশনার (ডিসি–মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
ডিএমপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে ডিবি পুলিশের একটি দল মতিউর রহমান ও লায়লা কানিজকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।
গত ৬ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মতিউর রহমান, তাঁর প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ, তাঁদের ছেলে তৌফিকুর রহমান এবং মেয়ে ফারজানা রহমানের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের করে। এর আগেও ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর মতিউর রহমান ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলীর বিরুদ্ধে আলাদাভাবে মামলা করেছিল দুদক।
- ‘ছাগল-কাণ্ড’ কী?
গত কোরবানি ঈদে ১৫ লাখ টাকায় ‘উচ্চবংশীয়’ ছাগল কেনার খবর এবং ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এর জেরে মতিউর রহমানের বিলাসী জীবনযাপন ও তাঁর পরিবারের বিপুল সম্পদের খবর জনসম্মুখে আসে। মতিউর রহমানের ছেলের দামি ঘড়ি, গাড়ি, এবং তাঁদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলো বাড়ি ও জমিজমার তথ্য তখন ব্যাপক আলোচনায় আসে।
২০২৪ সালের ২৩ জুন থেকে মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দুদক। ২৫ জুন তাঁর ও পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব, মুঠোফোন আর্থিক সেবা (এমএফএস) হিসাব এবং শেয়ারবাজারের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দেয় বিএফআইইউ।
এরপর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। মতিউর রহমানকে এনবিআর থেকে সরিয়ে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে স্থানান্তর করা হয় এবং সোনালী ব্যাংকের সরকার মনোনীত পরিচালক পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এই ঘটনায় মতিউর রহমানের পরিবারের বিরুদ্ধে আরও কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে আলোচনা চলছে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!