মাসুম পারভেজ ও মোঃ রাব্বি ঢালী।।
সম্প্রতি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো চলছে নিয়ম বহির্ভূত। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে যথাসময়ে। সার্বিক নেমশৃঙ্খলার স্বার্থে অনিয়ম প্রতিরোধে অভিযানে নেমেছে জেলা প্রশাসন। এরই সাথে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের রয়েছে আলাদা অভিযান আবার যৌথ অভিযানও পরিচালিত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় চাঁদপুর জেলার ইট তৈরি করা শিল্প প্রতিষ্ঠান ইট ভাটা গুলোতে পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হয়েছে । বিশেষ করে চলতি বছর জেলার অসংখ্য ইট ভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন না নিয়েই ইট তৈরির কাজ শুরু করেছে। ফলশ্রুতিতে এসব অবৈধ ইট ভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন চাঁদপুর এর যৌথ উদ্যোগে ২২ শে জানুয়ারি ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্হাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত, ২০১৯), এর ৫(১) ও ৫(২) নং বিধি লংঘনের দায়ে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার মেসার্স আয়েশা ব্রিকস ফিল্ড, মেসার্স মহসিন এন্ড ইমাম ব্রিকস ফিল্ড, মেসার্স খাদিজা ব্রিকস, মেসার্স নুরুল আলম ব্রিকস ও মেসার্স জিদনী নুসরাত ব্রিকস এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাকারিয়া হোসেন। অভিযান চলাকালে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর, চাঁদপুর এর উপ-পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান।
এ সময় ভাটার বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রের জটিলতার কারনে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৫ টি ইটভাটাকে মোট ৫,৫০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা জরিমানা ধার্য ও আদায় করা হয় ।
মোবাইল কোর্টে প্রসিকিউশন প্রদান করেন পরিবেশ অধিদপ্তর, চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক শরমিতা আহমেদ লিয়া । এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তর এর অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। মোবাইল কোর্টে আইন শৃংখলা রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী,পুলিশ বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস এর একদল চৌকস টিম সহযোগিতা করেন। একই সময় উপ-পরিচালক মহোদয় আমাদের নিশ্চিত করেন, পরিবেশ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ড ও তার বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অভিযানে সাধুবাদ জানিয়েছে সচেতন মহল।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!