ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ যত দিন ক্ষমা না চাইবে এবং তাদের শীর্ষ নেতৃত্বকে বিচারের মুখোমুখি করা না হবে, তত দিন দলটির কোনো ধরনের প্রতিবাদ কর্মসূচি করতে দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সরকারের এই কঠোর অবস্থানের কথা জানান তিনি। এর আগে সকালে নিজের ফেসবুক পোস্টেও এ বিষয়ে মন্তব্য করেন প্রেস সচিব।
আওয়ামী লীগের কর্মসূচি নিয়ে সরকারের কঠোর বার্তা
সংবাদ ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, আওয়ামী লীগ তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে ঘোষণা দিয়েছে যে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হরতাল, অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান কী?
জবাবে শফিকুল আলম বলেন, "সরকারের অবস্থান খুবই স্পষ্ট। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বসহ অনেকে জুলাই মাসের ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত।"
তিনি আরও বলেন, "গতকাল প্রকাশিত হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) প্রতিবেদনে স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে শেখ হাসিনা নিজেই গুম ও হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। এত বড় হত্যাকাণ্ড ঘটল, শত শত মানুষ মারা গেল, অনেকে স্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়ে গেল—কিন্তু তাদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই। বরং তারা মিথ্যা দাবি করছে যে তিন হাজার পুলিশ নিহত হয়েছে, যা সম্পূর্ণ বানোয়াট।"
"প্রথমে জবাবদিহি, তারপর আন্দোলনের অধিকার"
প্রেস সচিব আরও বলেন, "বাংলাদেশে যত দিন না আওয়ামী লীগ তাদের অপরাধের জন্য ক্ষমা চায়, যত দিন না তাদের নেতৃত্বকে বিচারের আওতায় আনা হয় এবং জবাবদিহির মধ্যে আনা হয়, তত দিন তাদের কোনো প্রতিবাদ কর্মসূচি করতে দেওয়া হবে না।"
সরকারের এ স্পষ্ট অবস্থান জানিয়ে তিনি বলেন, "প্রথমে তাদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। এরপর তারা আন্দোলনের অধিকার পাবে।"
সরকারের কঠোর বার্তা কি নতুন সংকেত?
সরকারের এই ঘোষণার পর রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি আওয়ামী লীগের জন্য কঠিন এক বার্তা, যা দলটির ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!