বশেফমুবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক প্রভাষক আতিকুর রহমান৷ ২য় বর্ষের ১ম সেমিস্টারের 'এনভারমেন্টাল ম্যানেজমেন্ট' কোর্সের কোর্স ইন্সট্রাক্টর৷ এসাইনমেন্টের বিকল্পে শিক্ষার্থীদের দিয়েছেন একটি করে গাছ লাগানোর।
শিক্ষার্থীরা এই এসাইনমেন্টের অংশ হিসাবে প্রায় ৪০টি গাছ লাগিছে। কাঠাল গাছ পাঁচটি , দুটি জলপাই গাছ ,পাঁচটি আম গাছ, দুটি আতা গাছ, পাঁচটি পেয়ারা, দুটি বকুল গাছ, একটি নিম গাছ, দুটি জাম্বুরা গাছ, দুটি কড়ই গাছ, দশটি মেহগনি গাছ একটি হরতকি ও দুটি কৃঞ্চচূড়া গাছ। এসব গাছ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে লাগিয়েছে তারা।
শিক্ষক আতিকুর রহমান বলেন, "এই এসাইনমেন্টটির মূল উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বাড়ানো। তারা যেন প্রকৃতির গুরুত্ব বুঝতে পারে এবং পরিবেশ সুরক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে, সেই লক্ষ্যে এই উদ্যোগ। গাছ লাগানো শুধু পরিবেশের জন্যই নয়, বরং এটি ব্যক্তিগত উন্নয়নেও সহায়তা করে। এটি ধৈর্য, দায়িত্ববোধ এবং সৃজনশীলতার চর্চার একটি মাধ্যম। একই সাথে এটি তাদের কোর্স রিলেটেড ও বটে৷"
তিনি আরও বলেন, "আমাদের এই এসাইনমেন্টে মাননীয় উপাচার্য স্যার এসে নিজ হাতে গাছে চারা রোপন করে উদ্বোধন করেছেন৷ আলোকপাত করেছেন পরিবেশ সুরক্ষা ও বৃক্ষরোপনের গুরত্ব এবং এতে ছাত্র সমাজের অগ্রণী ভূমিকার কথা৷"
শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই উদ্যোগ নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ দেখা গিয়েছে। ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ঊষা তাহসিন বলেন, "এই এসাইনমেন্ট আমাদেরকে শুধু বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেনি। এটি আমাদেরকে প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে সাহায্য করেছে। গাছ লাগানো এবং তার যত্ন নেওয়া সত্যিই আনন্দের।"
আরেক শিক্ষার্থী আয়েশা সিদ্দিকা আশা বলেন, "এভাবে বাস্তব ভিত্তিক শিক্ষায় নতুন এক অভিজ্ঞতা অর্জন হলো। এক দিকে যেমন বাস্তবতার নিরিখে আনন্দের সাথে শেখা হচ্ছে তেমনি মার্কও যুক্ত হচ্ছে। গতনুগতিক ধারার বাহিরে গিয়ে এমন শেখার সুযোগ তৈরী করে দেওয়ায় আমাদের আতিকুর রহমান স্যারের প্রতি অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞ। তিনি সবসময়ই আমাদের ভিন্ন ভাবে শেখান যা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।"
শিক্ষার্থী ইয়াসির আরাফাত বলেন, "এটি ছিলো আমাদের এনভারমেন্টাল ম্যানেজমেন্ট কোর্সের অধীনে এস্যাইনমেন্টের বিকল্প স্বরুপ৷ এটা প্রচলিত সিস্টেমের বাইরে গিয়ে কোর্স রিলেটেড বাস্তব জ্ঞানলাভের ব্যতিক্রমী আয়োজন৷ একই সাথে এটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (SDG) অর্জন প্রয়াসে এবং ক্যম্পাসকে সবুজায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমি মনে করি৷ আতিকুর রহমান স্যারের সার্বিক সহযোগিতা ও সর্বশেষ ভাইস-চ্যন্সেলর স্যারের উপস্থিতি আমাদের কর্মসূচীকে সত্যিই সাফল্যমন্ডিত করেছে৷"
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামরুল আলম খান এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, "এই ধরনের কার্যক্রম পরিবেশ সুরক্ষায় শিক্ষার্থীদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে উৎসাহিত করবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সবসময়ই পরিবেশবান্ধব কার্যক্রমকে উৎসাহিত করে আসছে। শিক্ষার্থীদের এই উদ্দীপনায় আমি বিমোহিত৷ আতিকুল রহমান কে ধন্যবাদ জানাই এমন ব্যতিক্রমী ও পরিবেশবান্ধব উদ্যোগের জন্য৷ এটা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার"
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!