সরকারের পতনের পর শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ২০ আগষ্ট পদত্যাগ করেতে বাধ্য হন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া।পরে প্রক্টরিয়াল বডি, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক, চারটি হলের প্রাধ্যক্ষ এবং লাইব্রেরিয়ানসহ মোট ১৯ জন স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন।উপাচার্য ছাড়া শূন্য ১৯ পদে নিয়োগও দিতে পারেন না প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক গুরুত্বপূর্ণ কাজে জটিলতা ও একটি বড় শূন্যতা তৈরি হয়েছে।ফলে প্রশাসনিক বড় বড় সিদ্ধান্তে জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা ও শিক্ষার্থীরা।
উপাচার্যের পদত্যাগের পর থেকে এক মাস পেরিয়ে গেলে এখনও পর্যন্ত নিয়মিত বা পুর্নাঙ্গ কোনো উপাচার্য নিয়োগ করা হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়টিতে।
উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারার এই শীর্ষ তিন পদ রয়েছে শূন্য।এছাড়া বিভিন্ন দপ্তরের ১৯ টি পদই শূন্য।এরইমধ্যে জরুরি ভিত্তিতে প্রশাসনিক এবং আর্থিক দায়িত্ব পেয়েছেন অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দীন।
স্থবিরতা কাটিয়ে উঠতে নিয়মিত উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে ২২ শে সেপ্টেম্বর (রবিবার) ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম ঘোষণা করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়❝প্রিয় ববিয়ান,আমরা লক্ষ্য করছি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ নিয়মিত ভিসি, প্রক্টর, প্রভোস্ট সহ প্রশাসনিক প্রায় সকল পদ শুন্য হয়ে আছে।যার দরুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন-অগ্রগতি চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সৎ, যোগ্য এবং জুলাই অভ্যুত্থানের বিপ্লবী চেতনায় উজ্জীবিত একজন ভিসি নিয়োগ দেয়ার আহবান জানাচ্ছি।আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে যদি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত ভিসি নিয়োগ দেয়া না হয় আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!