বরগুনা প্রতিনিধিঃ
বরগুনা সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শওকত আলী খান হিরনের বিরুদ্ধে সরকারী নির্দেশনা ছাড়া বিনা মূল্যে বিতরণযোগ্য ১ম শ্রেণীর শিক্ষক সহায়িকা বই শিক্ষকদের কাছে বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সূত্রে জানা যায়, সদরের ফুলঝুরি, লেমুয়া খাজুরা ও গুদিঘাটা এই ৩ টি ক্লাষ্টারের ৯০ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শওকত আলী খান হিরন। তিনি বিনামূল্যে বিতরণযোগ্য শিক্ষক সহায়িকা ৭টি বই এই ৯০ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের কাছে অবৈধভাবে সেট প্রতি ১৫'শ টাকায় বিক্রি করেছেন বলে শিক্ষকরা অভিযোগ করেন। শিক্ষা কর্মকর্তা হিরন এ সকল বই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ক্রয়ের জন্য বাধ্য করেন বলে শিক্ষকরা জানান। অথচ পরবর্তীতে ওই একই শিক্ষক সহায়িকা ৭টি বই সরকারের তরফ থেকে বিনামূল্যে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরবরাহ করা হয়।
বরগুনা সদরের কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের আমরাঝুরি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, এটিইও শওকত আলী খান হিরন স্যারের নির্দেশে প্রধান শিক্ষক গোলাম সরোয়ার ননীর কাছ থেকে ৭ টি বই আমি ১৫'শ টাকায় ক্রয় করি। পরবর্তীতে বিনামূল্যে এই সকল বই সরকারের তরফ থেকে আমাদের দেয়া হয়। ক্রয়কৃত বিনা মূল্যের এই বইয়ের টাকা আপনি কিভাবে সমন্বয় করবেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, হিরন স্যার স্লিপ ফান্ড থেকে সমন্বয় করতে বলেছেন। এছাড়া সদরের পশ্চিম ডেমা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন ওই একই কথা বলেন। ৩ ক্লাষ্টারের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাধিক প্রধান শিক্ষকরা শিক্ষক সহায়িকা বই ক্রয়ের কথা স্বীকার করেন।
জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শওকত আলী খান হিরন বলেন, আমি সরকারের একটি পার্ট। শিক্ষকরা কোথা থেকে এই বই সংগ্রহ করেছে তা আমি জানিনা। অপর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, এই বই ক্রয়ের টাকা স্লিপ ফান্ড থেকে সমন্বয় করার বিধান আছে।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, সরকারী নির্দেশ ছাড়া শুধু বই কেনো একটি সাদা কাগজও বিক্রী করা যাবেনা। যদি কেউ এই নির্দেশনা অমান্য করে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!