২০২৫ শিক্ষাবর্ষে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির বাংলা ও ইংরেজি পাঠ্যবইয়ে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হচ্ছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পুরোনো বই থেকে বেশ কিছু প্রবন্ধ, গল্প ও কবিতা বাদ দেওয়া হচ্ছে এবং নতুন কিছু বিষয়বস্তু সংযোজন করা হচ্ছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ১৯৭৫ সালের জুলাই গণ–অভ্যুত্থান নিয়ে লেখা গদ্য, কবিতা এবং গ্রাফিতি।
আগামী শিক্ষাবর্ষে প্রায় ৪০ কোটি ৩৯ লাখ বই বিনা মূল্যে বিতরণের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। এনসিটিবির চেয়ারম্যান এ কে এম রিয়াজুল হাসান নিশ্চিত করেছেন যে, নতুন সংযোজন-বিয়োজন শিক্ষার্থীদের জন্য আরও সমৃদ্ধ পাঠ্যপুস্তক নিশ্চিত করবে।
- বদলাচ্ছে বাংলা বইয়ের বিষয়বস্তু
পঞ্চম শ্রেণির আমার বাংলা বইয়ে ছয়টি নতুন প্রবন্ধ যোগ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে “আমরা তোমাদের ভুলব না,” যা জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে লেখা। বাদ দেওয়া হয়েছে সাতটি পুরোনো গল্প, যার মধ্যে “ফেব্রুয়ারির গান” এবং “মাটির নিচে যে শহর” উল্লেখযোগ্য।
ষষ্ঠ শ্রেণির চারুপাঠ বইয়ে “কার্টুন ব্যঙ্গচিত্র ও পোস্টারের ভাষা” নামে একটি নতুন গদ্য যোগ করা হয়েছে। বাদ দেওয়া হয়েছে সৈয়দ শামসুল হকের “কত দিকে কত কারিগর”। সপ্তম শ্রেণির সপ্তবর্ণা বইয়ে সেলিনা হোসেনের “রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন” গদ্যটি বাদ দেওয়া হলেও যোগ হয়েছে হাসান রোবায়েতের কবিতা “সিঁথি,” যা জুলাই অভ্যুত্থানকে ঘিরে লেখা।
অষ্টম শ্রেণির সাহিত্য কণিকায় দুটি নতুন গদ্য যুক্ত করা হয়েছে—মোতাহের হোসেন চৌধুরীর “লাইব্রেরি” এবং জুলাই অভ্যুত্থানের ওপর লেখা “গণ অভ্যুত্থানের কথা।”
- ইংরেজি বইয়েও পরিবর্তন
ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির ইংরেজি বইগুলোতেও ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণির ইংলিশ ফর টুডে বইয়ে “সন অব দ্য সয়েল” এবং “মুজিব ইন স্কুল ডেজ” বাদ দেওয়া হয়েছে। সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি বইয়ে “আ নিউ জেনারেশন” এবং “আওয়ার উইনার ইন দ্য গ্লোবাল এরেনা” নামে দুটি নতুন অধ্যায় যোগ করা হয়েছে।
- পরিবর্তনের কারণ
পাঠ্যবই পরিমার্জনের সঙ্গে যুক্ত লেখক রাখাল রাহা জানিয়েছেন, কিছু ক্ষেত্রে বিষয়কে গুরুত্ব না দিয়ে ব্যক্তিবিশেষকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল। নতুন পরিবর্তনে বিষয়বস্তুকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের মতো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমেও ইতিহাসকে আরও সমৃদ্ধ করা হয়েছে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!