জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার দাবি সহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সোমবার সচিবালয়ে শিক্ষা সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির সমর্থনে শিক্ষা ভবনের সামনের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
সচিবালয়ে প্রবেশ করা এই ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন- আন্দোলনের মুখপাত্র তৌসিব মাহমুদ সোহান, সংগঠক একেএম রাকিব, রাইসুল ইসলাম নয়ন, আসাদুল ইসলাম, আবু বকর খান, নওশীন নাওয়ার জয়া, সোহান প্রামাণিক, মাসুদ রানা, নূর নবী, ওমর ফারুক, ফেরদৌস শেখ, এবং অপু মুন্সী।
শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে:
১. স্বৈরাচার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালককে আইনের আওতায় এনে তার দায়িত্ব সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসারদের হাতে সাত দিনের মধ্যে হস্তান্তর করতে হবে।
২. শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে স্পষ্ট রূপরেখা সহ ঘোষণার মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
৩. অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাসের জন্য স্বৈরাচার আমলের সকল চুক্তি বাতিল করতে হবে।
৪. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) ঘোষিত পাইলট প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৫. বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক বাজেট হিসেবে কমপক্ষে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে হবে।
শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামোগত উন্নয়নে এটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!