চাঁদপুর থেকে মোঃ বয়জিদ।।
জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখা কতৃক ফ্যা*সি*বা*দ -বি*রো*ধী আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় ও আর্থিক সহায়তা প্রদান এক অনুষ্ঠান চাঁদপুর শহরের অভিজাত চাইনিজ রেস্টুরেন্ট রসই ঘরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত থেকে শহীদ পরিবারের হাতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন কেন্দ্রীয় সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ মুহতারাম মাওলানা এ টি এম মাসুম।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্য বলেন স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট সরকার মানুষের ভোটের অধিকার, মানুষের মৌলিক অধিকার ও বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছ।
শেখ মুজিব সারাজীবন গণতন্ত্রের কথা বলেছেন। এই দেশের মানুষ গনতন্ত্রের শুধু লিখায় না গনতন্ত্রের প্রেরনার শক্তিময় মনে করতো।
কিন্তু শেখ মুজিব সাহেব ক্ষমতায় এসে গায়ের জোরে সকল রাজনৈতিক দলের গলাটিপে হত্যা করে একটি দল গঠন করলেন সেটার নাম হলো আওয়ামী বাকশাল। যেই গনতন্ত্রের কথা সারা জীবন তিনি বলছেন। সেই স্বাধীন দেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করলেন। এটা কি মানুষ ভুলে যাবেন?
তিনি গনতন্ত্রের কথা বলছেন আর তার সময়ে তিনি প্রায় তিরিশ হাজার বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী কে হত্যা করেছেন।রাজনৈতিক নেতা কর্মী কে কিভাবে অমানবিকভাবে হত্যা করেছে এটা এই দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে।
বিদেশ থেকে সাহায্য এসেছে এটা তার দলের লোকেরা লুটপাট করে নিয়ে গেলো তখন তিনি দুঃখ করে বললেন বিদেশ সব নিয়া গেছে। আর আমার কাছে চোর গুলারে রাইখা গেছে।
এবং তিনি বলেছেন সবাই কম্বল পাইলো কিন্তু আমার কম্বল গেলো কই।
আর শেখ হাসিনা তিনি কি করলেন তিনি চোরদেরকে ডাকাত বানিয়ে দিলেন।এবং তিনি নির্বাচন কে ধ্বংস করে দিয়েছে।মিছিল মিটিং সভা সমাবেশ কেড়ে নিয়েছে। এই যে আজকে আপনারা মিলিত হলেন কত বছর পর মিলিত হলেন?
পরিশেষে তিনি গুম খুন হত্যায় জড়িত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিচার কামনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি: অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রহিম পাটোয়ারী
আমীর জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখা।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটার ও চাঁদপুর সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়া, চাঁদপুর জেলা জামাতের নবনির্বাচিত আমির মাওলানা বিল্লাল হোসেন মিয়াজী ও জেলা, উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিটের জামায়াতে ইসলামির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এ সময় জেলা জামায়াতের নেতৃত্বে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের ২ লক্ষ টাকা করে মোট ১২ পরিবারকে ২৪ লক্ষ টাকা সহয়তা করেন।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!