আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৬৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ৪০ কোটি ডলার ঋণের ওপর ভর করে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা বেড়েছে। তবে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় চাপ কমেনি।
রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক সাংবাদিকদের জানান, আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ও এডিবির ঋণের অর্থ ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়ার ৯ কোটি ডলারসহ অন্যান্য সোর্স থেকে আরও ১৩ কোটি ডলার আসবে। সব মিলিয়ে ডিসেম্বরে রিজার্ভে যোগ হবে এক দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার।
তিনি বলেন, "এই অর্থের ওপর ভর করে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত (রিজার্ভ) কিছুটা বাড়বে। তবে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় চাপ কমেনি। আগামী বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে আকু পেমেন্ট রয়েছে। সেখানে এক বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি রিজার্ভ থেকে বের হবে।"
মেজবাউল হক জানান, গত বৃহস্পতিবার দেশের রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার। আজ রিজার্ভ বেড়ে ২৫ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। আর আইএমএফের শর্ত (বিপিএম-৬) অনুযায়ী, রিজার্ভ এখন ২০ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার।
তিনি বলেন, "আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ শুক্রবার দেশের রিজার্ভে যুক্ত হয়। একই দিন এডিবির ঋণের অর্থও রিজার্ভে যোগ হয়।"
বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার দেশের রিজার্ভে যুক্ত হয় শুক্রবার। একই দিন এডিবির ৪০ কোটি ডলারও রিজার্ভে যোগ হয়।
এর আগে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের জন্য অনুমোদিত আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের প্রস্তাব আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বোর্ড সভায় অনুমতি পায়।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!