২০২৪ সালের ১৬ই এপ্রিল, ভারতীয় রুপি মার্কিন ডলারের বিপরীতে সর্বনিম্ন স্তরে নেমে গেছে। আন্তঃব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে প্রতি ডলারের দাম ৮৩.৪৫ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। এটি ইতিহাসের সর্বোচ্চ হার।
কয়েকটি কারণ রুপির এই পতনের জন্য দায়ী:
মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ: মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার বৃদ্ধি করছে, যার ফলে ডলারের মূল্য বেড়েছে এবং অন্যান্য মুদ্রার তুলনায় এটি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ: ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে, যা রুপির উপর চাপ সৃষ্টি করছে।
বৈশ্বিক অস্থিরতা: ইউক্রেনে যুদ্ধ, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা এবং চীনের অর্থনীতির মন্দার ঝুঁকির মতো বৈশ্বিক অস্থিরতা বিনিয়োগকারীদেরকে নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে ডলারের দিকে ধাবিত করছে।
বাণিজ্য ঘাটতি: ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার অর্থ দেশটি আমদানির জন্য আরও বেশি ডলার কিনতে হচ্ছে।
আমদানি: ডলারের দাম বৃদ্ধি আমদানির খরচ বাড়াবে, যার ফলে মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে।
ঋণ: বিদেশি মুদ্রায় ঋণ নেওয়া কোম্পানিগুলোর জন্য ঋণ পরিশোধের খরচ বাড়বে।
বিনিয়োগ: ডলার শক্তিশালী হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের জন্য বিদেশে বিনিয়োগ করা আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।
ডলারের বিপরীতে রুপির মান অদূর ভবিষ্যতে আরও দুর্বল হতে পারে বলে বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন। তবে, ভারত সরকার এবং রিজার্ভ ব্যাংক রুপিকে স্থিতিশীল করার জন্য পদক্ষেপ নিতে পারে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!