জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেঁয়াজ আমদানির ওপর থেকে সব ধরনের শুল্ক-কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করেছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে পেঁয়াজের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ (৭ নভেম্বর) বুধবার এনবিআর পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক-কর প্রত্যাহারের বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পেঁয়াজের দাম সাধারণ মানুষের জন্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর ফলে পেঁয়াজ আমদানিতে প্রযোজ্য ১০ শতাংশ শুল্ক একেবারে শূন্য হয়ে যাবে।
এনবিআরের এই সিদ্ধান্তের ফলে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে এবং এর মাধ্যমে দাম কমানোর সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সম্প্রতি দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে এবং বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ১৫০ টাকার কাছাকাছি পৌঁছেছে। এছাড়া আমদানি করা পেঁয়াজের দামও ১০০ টাকার বেশি ছাড়িয়েছে।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) সম্প্রতি এনবিআরকে পেঁয়াজ আমদানির শুল্ক-কর প্রত্যাহার করার সুপারিশ করে। কমিশনের মতে, দেশের পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা ২৬ থেকে ২৭ লাখ টন হলেও স্থানীয় উৎপাদন তা পুরোপুরি পূরণ করতে পারে না, ফলে আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা থাকে। ভারতের পেঁয়াজ আমদানির অন্যতম উৎস হলেও, দেশটি এবার উৎপাদন কম হওয়ার কারণে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তবে বর্তমানে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির শর্ত শিথিল করলেও, সেখানে ২০ শতাংশ শুল্ক এখনও বহাল রয়েছে, যার ফলে আমদানির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এনবিআরের এই পদক্ষেপের মাধ্যমে আশা করা যাচ্ছে, পেঁয়াজের দাম নিম্নমুখী হবে এবং সাধারণ মানুষের জন্য এটি ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!