রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল (আরএসজিটি)-এর অধীনে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি)-তে গতকাল বিকালে প্রথম বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙর করেছে।
এই ঐতিহাসিক মুহূর্তটি চিহ্নিত করে দেশের অর্থনীতিতে 'ল্যান্ডলর্ড' যুগের সূচনা। নতুন এই টার্মিনালের যাত্রা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং আধুনিক প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতার সমন্বয় ঘটাবে। এর ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল: "আজ চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য ঐতিহাসিক দিন। প্রথম বিদেশি অপারেটর হিসেবে আরএসজিটির কাজ শুরু হওয়া একটি বিশেষ মুহূর্ত। তারা বন্দরে আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে আসবে এবং প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।"
আরএসজিটি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরউইন হেইজ: "আমরা পিসিটিতে প্রথম আনুষ্ঠানিক জাহাজের আগমন উদযাপন করছি। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এবং বৈশ্বিক লজিস্টিক চেইনে চট্টগ্রাম বন্দরের কেন্দ্রীয় ভূমিকা বাড়াতে অবদান রাখতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"
নাম: মায়েরস্ক দাভাও
পতাকা: সিঙ্গাপুর
আগমন: ২০২৪ সালের ১০ জুন, বিকাল ৩ টা
গন্তব্য: ইন্দোনেশিয়ার বেলাওয়ান বন্দর (২০২৪ সালের ১১ জুন, বিকাল)
ধারণক্ষমতা: প্রায় ৮০০ টিইইউএস কনটেইনার
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নির্মিত,১ হাজার ২৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত,৩২ একর ভূমির উপর অবস্থিত,১৬ একর ব্যাকআপ ইয়ার্ড,৪ হাজার ৫০০ টিইইউএস কনটেইনার ধারণক্ষমতা,বছরে ৫ লাখ টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিং করার ক্ষমতা,১০ মিটার ড্রাফট ও ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ ভিড়তে পারে,৬০০ মিটার জেটিতে একসাথে তিনটি জাহাজ ভেড়ানো যাবে
চুক্তি অনুযায়ী আগামী ২২ বছর টার্মিনাল পরিচালনা করবে,টার্মিনালে আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করবে
বন্দর কর্তৃপক্ষ ট্যারিফ, রিভার চার্জ, নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ করবে,আরএসজিটি জাহাজ হ্যান্ডলিং করবে
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!