ঢাকা: দেশের সবাইকে দায়িত্বশীলতার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস-২০২৫’ পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন প্রতিনিধিদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ বাণীতে দেশের প্রধান উপদেষ্টা বর্তমান সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সফলতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বর্তমানে ১ কোটি ২৬ লাখ ৩৯ হাজার ৮৬৬ জন মানুষকে সেবা দেওয়া হচ্ছে। এই সেবা এখন জিটুপি (গভর্নমেন্ট টু পিপল) পদ্ধতিতে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ও ব্যাংকের মাধ্যমে সরাসরি মানুষের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১০ হাজার ৫৫৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এই অর্থ দেশের দরিদ্র, প্রবীণ, সুবিধাবঞ্চিত শিশু, কিশোর-কিশোরী, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীত নারী, গুরুতর অসুস্থ রোগী এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কল্যাণে ব্যয় করা হচ্ছে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সমাজসেবা অধিদপ্তর বর্তমানে ৫৪টি জনহিতকর কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। সীমিত জনবল ও সম্পদ নিয়ে মন্ত্রণালয় দক্ষতার সঙ্গে এগুলো পরিচালনা করছে, যা প্রশংসার দাবিদার।
হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রমের সাফল্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘জুলাই বিপ্লব’সহ বিভিন্ন সময় আহত ছাত্র-জনতাসহ প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ চিকিৎসাসেবা ও সহায়তা পাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা সেবাগুলো আরও দ্রুত ও কার্যকরভাবে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, "এই দিবসটির উদ্দেশ্য শুধু উদযাপন নয়, বরং দেশবাসীকে তাদের দায়িত্ব ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার কথা মনে করিয়ে দেওয়া। আশা করি, এই আহ্বান সবার হৃদয়ে পৌঁছে যাবে।"
জাতীয় সমাজসেবা দিবস: নতুন দিগন্তের পথে বাংলাদেশ
এ দিবস পালনের মাধ্যমে দেশের সামাজিক উন্নয়নের ধারা আরও গতিশীল হবে বলে প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!