ইসলাম শান্তির ধর্ম, সত্যের ধর্ম। এই ধর্মে মিথ্যার কোন স্থান নেই। মিথ্যাবাদীর জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে শাস্তির বিধান রয়েছে। মিথ্যা বলে গুজব ছড়ানো মুনাফিকের আলামত। মুনাফিকদের দুনিয়াতে সবাই ঘৃণা করে। মুনাফিকের স্থান আখিরাতে জাহান্নামের নিম্নস্তরে।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন:
"মুনাফিকের আলামত তিনটি: যখন সে কথা বলে তখন মিথ্যা কথা বলে। ওয়াদা করলে ভঙ্গ করে। আর যখন তার কাছে আমানত রাখা হয়, সে খেয়ানত করে।" (বুখারি, হাদিস : ৩৩)
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন:
"আর যে ব্যক্তি কোনো অপরাধ বা পাপ অর্জন করে, অতঃপর কোনো নির্দোষ ব্যক্তির ওপর তা আরোপ করে তাহলে সে তো মিথ্যা অপবাদ ও প্রকাশ্য গুনাহের বোঝা বহন করল।" (সুরা : নিসা, আয়াত : ১১২)
কোনো খবর যাচাই-বাছাই করা ছাড়া তা বিশ্বাস করা অনুচিত। পবিত্র কোরআনে ভুল তথ্য অনুসরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
ইরশাদ হয়েছে:
"যে বিষয়ে তোমার কোনো জ্ঞান নেই তার অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই কান, চোখ, অন্তর, এগুলোর প্রতিটি সম্পর্কে কৈফিয়ৎ তলব করা হবে।" (সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৩৬)
সংবাদ প্রচারের আগে অবশ্যই তা যাচাই করে নিতে হবে। সংবাদটি সত্য কি না।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে:
"হে মুমিনগণ! তোমাদের কাছে যদি কোনো ফাসিক ব্যক্তি কোনো সংবাদ নিয়ে আসে তবে তা যাচাই কর। অজ্ঞতাবশত কোনো গোষ্ঠীকে আক্রান্ত করার আগেই, (না হলে) তোমরা কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত হবে।" (সুরা : হুজুরাত, আয়াত : ৬)
ইসলাম কোনো অবস্থায়ই গুজব ছড়ানোকে সমর্থন করে না। ইসলামের শিক্ষা হলো- মানুষ সর্বতোভাবেই তা পরিহার করবে। বরং প্রয়োজন ব্যতীত কোনো কথা সে বলবে না।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন:
"যে চুপ থাকে সে মুক্তি পায়।" (তিরমিজি, হাদিস : ২৫০১)
তাই কোনো চটকদার খবর চোখে পড়লেই যাচাই-বাছাই ছাড়া তা নিয়ে মাতামাতি করা উচিত নয়।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!