হাজিদের সেবা করার সুযোগ পাওয়া বড় সৌভাগ্যের ব্যাপার। কারণ হাদিসের ভাষ্যমতে, হাজিরা মহান আল্লাহর মেহমান।
রাসুল (সাঃ) হজের সময় হাজিদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতেন।
একবার তিনি জমজমের কাছে হাজিদের পানি পান করানোর খিদমতে নিয়োজিত লোকদের দেখে বলেছিলেন: "তোমরা তোমাদের কাজে ব্যস্ত থাকো। কারণ তোমরা ভালো কাজের মধ্যে রয়েছ। যদি এ কাজে আমার উপস্থিতির কারণে লোকদের ভিড় বেড়ে গিয়ে তোমাদের কাজে ব্যাঘাত হওয়ার আশঙ্কা না হতো, তাহলে আমি কূপ থেকে পানি তোলার রশি এখানে চড়িয়ে নিতাম।" (বুখারি, হাদিস : ১৬৩৫)
হাজিদের খিদমতে সাধ্য অনুযায়ী খরচ করা বা তাদের সেবায় নিয়োজিত থাকা ছিল নবী (সাঃ) এর সুন্নাহ।
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) বসরার এক কাফেলার সঙ্গে হজের সফরে গিয়েছিলেন। তিনি হাজিদের জন্য উট বহর নিয়ে এসেছিলেন যাত্রীবাহী উট তিনি তাঁর দ্বিনি ভাই ও পাড়া-প্রতিবেশী হাজিদের যাতায়াতের কাজে নিয়োজিত রেখেছিলেন। আর মালবাহী উটগুলো দূর-দূরান্ত থেকে আসা হজযাত্রী ও মেহমানদের আহার ও আপ্যায়নের ব্যবস্থাপনার জন্য রেখেছিলেন। (মুসতাদরাকে হাকেম : ৪/৫৭৭)
আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক (রহঃ) যখন হজের সফরের ইচ্ছা করতেন তখন তাঁর এলাকা মার্ভের বাসিন্দাদের একত্র করে বলতেন: "তোমাদের কে কে এবার হজে যাবে?" যারা হজে যাওয়ার কথা জানাত তাদের থেকে তাদের হজের খরচাদি বাবদ জমা অর্থ নিজের কাছে নিয়ে নিতেন। সেগুলো একটি সিন্দুকে রেখে সিন্দুক তালা দিয়ে দিতেন। অতঃপর নিজ খরচে এলাকার সব হজযাত্রীকে নিয়ে হজের উদ্দেশে বের হতেন। (তারিখে বাগদাদ : ১/১৫৮)
এই ঘটনাগুলো থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি যে, হাজিদের সেবা করা একটি মহৎ কাজ। আমাদের সকলের উচিত হাজিদের যথাসাধ্য সাহায্য করা এবং তাদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করা।
এছাড়াও, হজের সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মনে রাখা উচিত:হাজিরা আল্লাহর মেহমান। তাই তাদের সাথে সর্বোচ্চ সম্মান ও মর্যাদার সাথে আচরণ করা উচিত।হাজিদের সেবা করা আল্লাহর রাসুল (সাঃ) এর সুন্নাহ। তাই এটি একটি সওয়াবের কাজ।হাজিদের সেবা করার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করতে পারি।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!