ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় আজ, ২০২৪ সালের ২২শে জানুয়ারি, বহুল প্রতীক্ষিত রামমন্দিরের উদ্বোধন হচ্ছে। স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে) এই উদ্বোধন অনুষ্ঠান শুরু হবে। স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় (বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টা) এই অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার কথা।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এছাড়াও, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত সাত হাজার জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠান ঘিরে অযোধ্যাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় পুলিশের পাশাপাশি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরাও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন।
রামমন্দির প্রতিষ্ঠা ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকারের অন্যতম রাজনৈতিক অঙ্গীকার ছিল। এ প্রতিশ্রুতি পূরণের মাধ্যমে বিজেপি হিন্দু ভোটব্যাংকে আরও শক্ত অবস্থান পাওয়ার আশা করছে।
উল্লেখ্য, মোগল সম্রাট বাবরের সেনাপতি মীর বাঁকি ১৫২৮ সালে অযোধ্যায় মসজিদটি তৈরি করেন, যা পরবর্তী সময়ে বাবরি মসজিদ নামে পরিচিতি লাভ করে। তবে দেশটির হিন্দু সম্প্রদায়ের দাবি, সেখানে ‘রামের মন্দির ভেঙে’ মসজিদটি তৈরি করা হয়েছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর করসেবকদের হামলায় মসজিদটি ধ্বংস হয়। এরপর ২০১৯ সালের নভেম্বরে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ওই জমির মালিকানার রায় মন্দিরের পক্ষেই দেন। সেখানেই গড়ে তোলা হয় আজকের রামমন্দির।
রামমন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসসহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলো বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কংগ্রেসের দাবি, এই অনুষ্ঠানটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে এবং এটি ধর্মীয় সম্প্রীতির পরিপন্থী।
রামমন্দির নির্মাণের ইতিহাস বেশ পুরনো। হিন্দু ধর্মগ্রন্থ অনুসারে, রাম ছিলেন একজন আদর্শ রাজা এবং অযোধ্যার রাজা ছিলেন। তিনি ত্রেতা যুগে বাস করতেন বলে হিন্দুরা বিশ্বাস করেন।
রামের জন্মস্থান হিসেবে অযোধ্যাকে হিন্দুরা পবিত্র স্থান হিসেবে মনে করেন। বাবরি মসজিদ নির্মাণের আগে সেখানে একটি রাম মন্দির ছিল বলে হিন্দুদের দাবি।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর করসেবকদের হামলায় বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয়। এরপর থেকে রামমন্দির নির্মাণের দাবি জোরদার হয়।
২০১৯ সালের নভেম্বরে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ওই জমির মালিকানার রায় মন্দিরের পক্ষেই দেন। এরপর থেকে রামমন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয়।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!