শাবান মাসের পবিত্রতম রাত হলো লাইলাতুল বরাত। মুসলমানদের কাছে রমজানের প্রস্তুতিমূলক মাস হিসেবে পরিচিত শাবান। এ মাসেই মহান আল্লাহ কাবাকে মুসলমানদের কেবলা হিসেবে নির্ধারণ করেছিলেন।
রোজা: হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেছেন, রসুল (সা.) রমজান ছাড়া অন্য কোনো মাসে এত বেশি রোজা রাখতেন না, যত বেশি রোজা তিনি শাবানে রাখতেন।
ইবাদত: রমজানের রাতদিন ইবাদত করার জন্য লাইলাতুল বরাতে জাগরণ ও দিনে রোজা রাখাকে রসুল (সা.) পছন্দ করেছেন।
ক্ষমা: হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘লাইলাতুল বরাত রাতে আল্লাহতায়ালা বান্দার প্রতি নজর দেন (যারা ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে তওবা করেন) সবাইকে মাফ করে দেন একমাত্র মুশরিক ও হিংসুক ছাড়া।’
রোজা: রসুল (সা.) লাইলাতুল বরাতের পরদিন রোজা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
ইবাদত: রসুল (সা.) লাইলাতুল বরাতে বেশি বেশি ইবাদত করতেন।
শর্ত: লাইলাতুল বরাতের ফজিলত পাওয়ার জন্য দুটি শর্ত হলো ক্ষমা প্রাপ্তি ও রমজানের ইবাদত করার জন্য পূর্বপ্রস্তুতি।
মুক্তির উপায়: শিরক ও হিংসামুক্ত হওয়ার মাধ্যমে আমরা লাইলাতুল বরাতের ফজিলত পেতে পারি।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে শাবানে বেশি বেশি ইবাদত করা ও রমজানের প্রস্তুতি নেওয়ার তৌফিক দান করুন।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!