পাপ কেবল বড় হলেই ভয়ের কারণ নয়, বরং ছোট ছোট পাপও আমাদের জীবনে বিরাট বিপদ ডেকে আনতে পারে। হাদিসে 'মুহাক্কারাত' শব্দটি দ্বারা ছোট ছোট পাপকে বোঝানো হয়েছে। অনেকেই এগুলোকে তুচ্ছ মনে করলেও, এগুলো ক্রমশ বড় পাপের দিকে ধাবিত করে এবং ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
সাহাল ইবনে সাঈদ (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসূল (সাঃ) ছোট ছোট পাপের বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন, "তোমরা ছোট ছোট পাপ থেকে সাবধান হও। কারণ এগুলো মানুষের কাঁধে জমা হতে থাকে, অতঃপর তাকে ধ্বংস করে দেয়।"
হাদিসে ছোট ছোট পাপকে এমন লোকদের সাথে তুলনা করা হয়েছে যারা খোলা মাঠে কিছু কিছু করে লাকড়ি সংগ্রহ করে। শেষ পর্যন্ত এগুলো একত্রিত হয়ে রান্নার উপযোগী পরিমাণ লাকড়ি হয়ে যায়।
একইভাবে, ছোট ছোট পাপও ক্রমশ জমা হয়ে বড় পাপের রূপ ধারণ করে এবং মানুষের পতনের কারণ হয়।
ইমাম সিন্ধি (রহ.) ব্যাখ্যা করেছেন যে, মানুষ যখন ছোট পাপকে তুচ্ছ মনে করে, তখন সেগুলোর প্রতি উদাসীন হয়ে পড়ে। এই উদাসীনতা ক্রমশ বড় পাপের দিকে ধাবিত করে এবং শেষ পর্যন্ত ধ্বংসের কারণ হয়।
ইমাম গাজালি (রহ.) বলেছেন, ছোট পাপগুলো তাওবা না করার ফলে বড় আকার ধারণ করে। তাওবা না করলে এগুলো ঈমান হারানোর কারণও হতে পারে।
একজন মুমিনের কর্তব্য হলো সব ধরনের পাপ থেকে নিজেকে বিরত রাখা। ছোট পাপকেও গুরুত্বের সাথে দেখা উচিত। কারণ এগুলো ক্রমশ বড় পাপের দিকে ধাবিত করে এবং ধ্বংসের কারণ হয়।
উপরোক্ত বিষয়বস্তু ছাড়াও, নিম্নলিখিত বিষয়গুলোও মনে রাখা জরুরি:
ইলম থেকে বঞ্চিত হওয়া: গুনাহের কারণে মানুষ ইলম থেকে বঞ্চিত হয়। ইলম হলো নুর, যা গুনাহের অন্ধকার দূর করে।
রিজিক থেকে বঞ্চিত হওয়া: গুনাহের কারণে মানুষের রিজিক কমে যেতে পারে।
একাকীত্ব অনুভব করা: গুনাহের কারণে মানুষ আল্লাহর থেকে দূরে সরে যায় এবং একাকীত্ব অনুভব করে।
পরিশেষে, আল্লাহ্র কাছে তওবা ও দু'আ করার মাধ্যমে আমরা সকল পাপ থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারি।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!