প্রধান প্রতিবেদক:
ফরিদগঞ্জে জোরপূর্বক ভাবে সুপারি পাড়াকে কেন্দ্র করে বড় ভাই মোস্তফা কামাল (৬০) ও  তার ছেলে শাহজালাল (২২) এর হাতে ছোট ভাই লাঞ্চিত ও হামলার হওয়ার এক গুরুতর অভিযোগ উঠে।

১১ অক্টোবর বুধবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় ফরিদগঞ্জ ৭নং পাইকপাড়ার,শাশিয়ালী মিজি বাড়ির সুপারির বাগানে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। মরহুম আব্দুল ছাত্তার মিজির ৪ সন্তানের মধ্যে মোঃ মোস্তফা কামাল, মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ জসিম মিজি ও মোঃ মহসীন মিজি।

ছোট ছেলে মহসীন পরিবার নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করার কারনে গ্রামের বাড়িতে তেমন একটা আসা হয়না। গ্রামের বাড়িতে তার সুপারির বাগান, নারকেল বাগান সহ তার সকল সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য তার ভাই মোঃ মিজানুর রহমান কে দায়িত্ব দেন। মিজানুর রহমান তার বাগান সহ সম্পত্তি রক্ষানাবেক্ষন করে আসছিল। এতে মিজানুর রহমান  ও মহসীনের বড় ভাই মোস্তফা কামাল বিষয়টি সহ্য করতে পারত না। বড় ভাই মোস্তফা কামাল চেয়েছিল সব নিজের করে আত্মসাৎ করতে। তারপরও মোস্তফা কামাল ও তার ছেলে শাহজালাল জোরপূর্বক ভাবে সুপারি ও নারকেল বিক্রি করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিত। বুধবার সকালে পূর্বের ন্যায় মোস্তফা কামাল ও তার ছেলে শাহজালাল সুপারি ও নারকেল পাড়তে গেলে মিজানুর রহমান বাঁধা দিলে তাকে বাব ছেলে স্ত্রী রিনা নাসরিন, মেয়ে মুন্নী এলোপাথারি মাইরধোর ও রক্তাক্ত জখম করে।

এই বিষয়ে সুপারির বাগানের মালিক মহসীন মিজি জানান আমার ভাই মোস্তফা কামাল ও তার ছেলে এলাকার চিহ্ন ভূমিদস্যু। আমার ভাই  তার ছেলেদের শক্তি কাজে লাগিয়ে মানুষের জায়গা দখল করে। আমার অনেক টাকা পয়সা মেরে খেয়েছে, আমাকেও মেরেছে। আজ আমার ভাই মিজানুর রহমানকে মাইরধোর করেছে। এর পূর্বে আমার  প্রবাসী ভাই  মোঃ জসিম ও নজরুলকে ও তাদের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্য মেরেছে। আমার জায়গা দেখাশুনা করতে গিয়ে আমার ভাই তাদের হামলার শিকার। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। আমি দ্রুত আমার ভাই উপর আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নিবো।

এলাকার জাহাঙ্গীর মিজি বলেন মোস্তফা কামাল ও তাদের ছেলে আমাদের জায়গা জোর পূর্বক দখল করে রেখেছে, আমার জেঠাত ভাই নুরু মিজির জায়গা ও দখল করে রেখেছে। আমরা প্রতিবাদ করতে আসলে মারতে আসে। তাই আমরা বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করি৷ মামলার রায় আমাদের পক্ষে এসেছে। এখন মামলা আপিল পর্যায় আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বহু লোক তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। কথায় কথায় মানুষদের গায়ে হাত তোলা তাদের এখন নিত্যদিনের কাজ হয়ে দাড়িয়েছে। এলাকার সচেতন মহলের দাবি এদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হোক।

মোস্তফা কামাল ও তার ছেলেকে না পাওয়াতে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।