ইসলামে, আমানতদারি একটি গুরুত্বপূর্ণ গুণ। মুসলমানদের একে অপরের প্রতি বিশ্বস্ত হতে হবে এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে আমানত রক্ষা করতে হবে। আমানতের খেয়ানত একটি মারাত্মক অপরাধ যা ব্যক্তি ও সমাজের জন্য ক্ষতিকর।
রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "মহান আল্লাহ ঘোষণা করেছেন: 'যখন দুই পক্ষ মিলে যৌথ কোনো কাজ করে, আমি তখন তাদের (সাথে) তৃতীয় পক্ষ হই। যে পর্যন্ত তারা পরস্পরের সঙ্গে খেয়ানত তথা বিশ্বাসঘাতকতা না করে।'" (সুনানে আবুদাউদ, হাকেম)
রসুল (সাঃ) আরও বলেছেন, "মানুষের চারিত্রিক গুণাবলির মধ্য থেকে যে গুণটি সবচেয়ে আগে অদৃশ্য হয়ে যাবে তাহলো আমানতদারি তথা বিশ্বস্ততা। আর শেষ অবধি যা রয়ে যাবে তা হচ্ছে নামাজ। এমন অনেক নামাজি আছে যারা কোনো কল্যাণই অর্জন করতে পারে না।" (আবু দাউদ ও তিরমিজি)
রসুল (সাঃ) বলেছেন, "তোমরা খেয়ানত কর না, কেননা খেয়ানত কতই না শাস্তি ও তিরস্কারযোগ্য।" (আবু দাউদ ও তিরমিজি)
আল্লাহ বলেন, "হে ইমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসুলের এবং জেনেশুনে নিজেদের পারস্পরিক আমানতের খেয়ানত কর না।" (সুরা আনফাল-২৭)
হজরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, "আল্লাহ বান্দাদের জন্য যা কিছু (যে বিষয়গুলো) ফরজ করেছেন, তাই আল্লাহর আমানত।" অর্থাৎ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তোমরা আল্লাহর দেওয়া ফরজ আদেশ-নিষেধ ভঙ্গ বা অমান্য কর না।
আমানতের খেয়ানত ব্যক্তির বিশ্বস্ততা ও নীতিবোধ নষ্ট করে।সমাজে বিশ্বাস ও সহযোগিতার অভাব তৈরি করে।অপরাধ ও সামাজিক অস্থিরতা বৃদ্ধি করে।আখেরাতে কঠোর শাস্তির কারণ হয়।
আমাদের সকলেরই উচিত আমানতদার হওয়ার চেষ্টা করা এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে আমানত রক্ষা করা। আমানতের খেয়ানত একটি মারাত্মক অপরাধ যা ব্যক্তি ও সমাজের জন্য ক্ষতিকর।
হাদিস ও কোরআনের আয়াতের মাধ্যমে আমানতের গুরুত্ব ও খেয়ানতের ক্ষতিকর প্রভাব তুলে ধরা হয়েছে।
বিভিন্ন ধরণের খেয়ানতের উল্লেখ করা হয়েছে।খেয়ানতের প্রভাব ব্যক্তি, সমাজ ও আখেরাতের উপর বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!