স্টাফ রিপোর্টার।। চাঁদপুর শহর সংলগ্ন বাবুরহাট ব্যবসায়ী আব্দুস সোবহান বেপারীর বিসিকের ঘর ভাড়া নিয়ে ফুড আইটেম তৈরি ও প্যাকেট জাত কারখানা চালিয়ে আসছিলেন ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম।
জানা যায় বিভিন্ন কারণে কারখানার ব্যবসায় লোকশান দেখে ব্যবসা গুটিয়ে নেন আব্দুস সালাম।
এ বিষয়ে আরো জানা যায় যে, দীর্ঘদিন আমার কারখানার লোকসানে থাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যা অযথা বন্ধ অবস্থায় রয়েছে ফলে ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম কারখানার মেশিনপত্র সহ আসবাবপত্র অন্যত্র বিক্রির প্রস্তাব দিলে উক্ত মালামাল দামদস্তুর করে ব্যবসায়ী সোবহান বেপারী নিজের ছেলে স্বাধীন ব্যাপারী জন্য খরিদ করে রেখে দেন এবং মালা-মাল স্বযত্নে ষোলঘর পাকা মসজিদ সংলগ্ন নিজের ঘরে রাখেন।
সোবহান বেপারীর অভিযোগ আব্দুস সালাম আমার বিসিকের দোকানের ভাড়া ঠিকমতো পরিশোধ করে নাই। ভাড়ার টাকার জন্য চাপ দিলে তিনি বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে কালক্ষেপণ করতেন। তিনি আরো বলেন আমি আমার দোকানের ভাড়ার টাকা সমন্বয় করে আব্দুস সালাম থেকে মালামাল খরিদ করেছি কিন্তু সে আমার অসুস্থতার সুযোগে ব্যবসায়ী জামাল সহ আমার বাড়িতে এসে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সামনে দিয়ে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে মালামাল গুলো নামিয়ে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ২ নং আশিকাটি ইউনিয়ন পাইকাস্তা গ্রামের ব্যবসায়ী জামালের সাথে কথা বললে তিনি জানান এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আব্দুস সোবাহান ও আব্দুস সালাম তারা মালিক ভাড়াটিয়া তাদের মধ্যকার বিষয়ে আমার কিছু বলার নাই।
আব্দুস সোবান বেপারীর খরিতকৃত মালামাল আপনার কারখানায় রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমি অন্যত্র থেকে আমার কারখানার যাবতীয় মালামাল খরিদ করেছি।
অপরদিকে সোবহান ব্যাপারী দাবি করেন ছবিতে দেখা যায় মালামাল নেওয়ার সময় আব্দুস সালাম ও জামাল একত্রই ছিলেন এবং মালামাল গুলো দুজনেই নামিয়ে নেন।
আব্দুস সোবহান বেপারী আরও বলেন আব্দুস সালামের কাছ থেকে খরিদ করা মালামাল সে নিয়ে গেছে এবং কোথায় রেখেছে সেই ভিডিও সহ তথ্য আমার কাছে আছে কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে তারা সরাসরি এসে মালামালগুলো নিয়ে গিয়ে আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে। এতে আমি ভীষণ কষ্ট পেয়েছি। আমার নিরপরাধ স্ত্রী সন্তানদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করায় আমি ক্ষুব্ধ এবং সামাজিকভাবে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত।
এ বিষয়ে জানতে গিয়ে সরাসরি আব্দুস সালাম এর সাথে সাক্ষাৎ না পেয়ে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে আব্দুস সালাম বলেন সোবহান বেপারীর বিসিকের দোকান নিয়েছি কাঁচা ফ্লোর আস্তরবিহীন দেওয়াল।
এটাকে কারখানায় রূপান্তর করতে আমি অনেক অর্থ ব্যয় করেছি আস্তর ও টাইলস সহ অনেক টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। লোকসানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। ধার-দেনাও করেছি। ঋণের চাপে আমি পাগল প্রায়। বিষয়টি নিয়ে আইন আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।
টাকা না পেয়ে আমি আমার মালা-মাল গুলো নিয়েছি এবং দু " চারজন ব্যক্তিবর্গের সামনে দিয়েই তাদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক নিয়েছি। অপরদিকে সোবহান বেপারী আরও বলেন সিদ্ধান্ত মোতাবেক তার টাকা আমি তাকে দিব কিন্তু সে তার মালামাল গুলো নিজে এসে নিয়ে ওই মালামালের বিষয়ে যদি আমার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয় তাহলে সেটার পরিবর্তে আমারও তো কিছু করার আছে।। বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি না হলে উভয়ের মাঝে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান স্থানীয় অভিজ্ঞ মহল।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!