ইমরান হক চাঁদপুর।। (PB-0107)
নবগঠিত মন্ত্রিসভার সমাজকল্যাণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করে প্রথম অফিস করলেন ডা. দীপু মনি। ১৫ জানুয়ারী সোমবার সচিবালয়ে এসে পৌঁছলে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খায়রুল আলম সেখসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ফুলেল সংবর্ধনা দিয়ে তাঁকে দপ্তরে নিয়ে আসেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের অধিনস্ত দপ্তর এবং সংস্থা প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী তাঁর দপ্তরে সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে পরিচয় পর্ব শেষে মন্ত্রণালয়, দপ্তর এবং সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৩ (চাঁদপুর-হাইমচর) সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে গত ১১ জানুয়ারি তিনি মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হিসেবে শপথ নেন। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রথম নারী শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি (২০১৪-২০১৮), মানবাধিকার বিষয়ক সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রুপের সভাপতি (২০১৪-২০১৮) ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী (২০০৯-২০১৩) ছিলেন।
ডা. দীপু মনি এমপি বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
দীপু মনি ১৯৬৫ সালের ৮ ডিসেম্বর চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের কামরাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা একুশে পদক বিজয়ী ভাষা আন্দোলন কর্মী ও রাজনীতিবিদ এমএ ওয়াদুদ। মা রহিমা ওয়াদুদ ছিলেন শিক্ষিকা।দুই ভাইবোনের মধ্যে একমাত্র ভাই জেআর ওয়াদুদ টিপু একজন চিকিৎসক।তার স্বামী বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের অ্যাডভোকেট তৌফিক নাওয়াজ।
দীপু মনি হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি পড়েন। এমবিবিএস ডিগ্রি লাভের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব পাবলিক হেলথ থেকে এমপিএইচ ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। এ ছাড়া লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন দীপু মনি।
দীপু মনি ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।একই সঙ্গে শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান। তিনিই বাংলাদেশের প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পরে ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একই সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হন। ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ২০তম কাউন্সিলে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হন দীপু মনি। এরপর ২০১৯ সালে ২১তম কাউন্সিলেও একই পদে বহাল থাকেন তিনি। তবে ২০২২ সালে ২২তম জাতীয় কাউন্সিলে একই পদে বহাল থাকলেও আওয়ামী লীগের চার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে তিন নম্বর থেকে ৪-এ দেওয়া হয় তাকে।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একই সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। দীপু মনিই বাংলাদেশের প্রথম নারী শিক্ষামন্ত্রী।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!