ঢাকা বাড্ডা থানার রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় রিমান্ড শুনানির সময় কাঁদলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। ছয় মাস ধরে কারাগারে থাকা ছেলের সঙ্গে একবারও দেখা হয়নি বলে আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
সোমবার (১৭ মার্চ) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এই শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত শাজাহান খান ও তার ছেলে আসিবুর রহমান খানের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শুনানিতে আবেগাপ্লুত শাজাহান খান
রিমান্ড শুনানির সময় বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করলেও শুরুতে কোনো সাড়া পাননি শাজাহান খান। পরে অনুমতি পেয়ে আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, “আমার বয়স হয়েছে। ছয় মাস ধরে ছেলের সঙ্গে দেখা হয়নি। কত চেষ্টা করেছি, তবুও কোনো লাভ হলো না।”
এই কথা বলেই তিনি কাঁদতে শুরু করেন এবং বিচারকের উদ্দেশে দুই হাত জোড় করে বলেন, “আমার এলাকার এক চেয়ারম্যান ষড়যন্ত্র করে আমাকে ফাঁসিয়েছে। আমার ছেলেকেও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।”
মামলার বিবরণ
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী আদালতে জানান, গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে বাড্ডা এলাকায় রফিকুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে শাজাহান খান জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “শাজাহান খান আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতা। তিনি শেখ হাসিনার অন্যতম সহযোগী এবং আন্দোলন দমনে গণভবনে একাধিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আন্দোলনের দমন সংক্রান্ত আরও তথ্য পাওয়া যাবে।”
ছেলের সঙ্গে দেখা হয়নি
শুনানির সময় শাজাহান খান ছেলের খোঁজ নিয়ে জানতে চান, তাকে আদালতে আনা হয়েছে কি না। আইনজীবী জানান, আসিবুর রহমান খান তখনও হাজতখানায়। পরে আদালত তারও চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় পৃথক কক্ষে অবস্থান করেন বাবা-ছেলে। এরপর তাদের পৃথক প্রিজনভ্যানে করে কারাগারে পাঠানো হয়।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!