সাঈদ আহমেদ নামে এক ব্যক্তি ঢাকার ইসলামপুরে "নাশওয়ান ফ্যাশন" নামক একটি দোকানে কর্মরত ছিলেন।
তার দুই স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও, তিনি গাজীপুরে রিতা নামে এক প্রেমিকার সাথে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন।
2023 সালের শুক্র ও শনিবার, দোকানে 33 লাখ টাকার বিক্রি হয়। ব্যাংক বন্ধ থাকায় টাকা দোকানের লকারে রাখা হয়।রবিবার সকালে, সাঈদ তার এক সহকর্মীকে টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য নিয়ে যান।কিছুদূর যাওয়ার পর, তিনি সহকর্মীকে দোকানে ফেরত পাঠিয়ে একাই ব্যাংকে প্রবেশ করেন।কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করার পর, তিনি টাকা নিয়ে গাজীপুরে রিতার কাছে পালিয়ে যান।এরপর তারা নরসিংদী, বগুড়া, পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা এবং রিতার বাড়ি ফরিদপুরে যান।তাদের পরিকল্পনা ছিল টাকা নিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের কোতোয়ালি জোনাল টিম সাঈদ ও রিতাকে গ্রেপ্তার করে।তাদের কাছ থেকে 31 লাখ 87 হাজার 500 টাকা উদ্ধার করা হয়।
ডিবি লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিশনাল ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মশিউর রহমান জানান, সাঈদ প্রেমিকাকে বিয়ে করে আমোদ-ফুর্তি করার জন্য টাকাগুলো চুরি করেছিল।
সাঈদ ও রিতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।তাদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
অন্যের টাকা চুরি করা একটি অপরাধ।অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করা উচিত নয়।লোভের বশে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়।
এই ঘটনাটি আমাদের লোভের বিপদ সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দেয়। আমাদের সর্বদা সৎ এবং ন্যায়সঙ্গতভাবে জীবনযাপন করার চেষ্টা করা উচিত।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!