মোঃআবু হানিফ বিন সাঈদ,বিডিসিএন রিপোর্ট::
বিবিসি সূত্র মতে জানা গেছে, গাড়ির সামনে স্পষ্ট করে ‘টিভি’ শব্দটি লেখা ছিল। এরপরও সাংবাদিকদের গাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে রাস্তার পাশের দেয়াল বা প্রাচীরের সাথে ধাক্কা দেয়া হয়। শুধু তাই নয়, তাদেরকে ব্যাপক তল্লাশিও করা হয়।
হামাসের পাশাপাশি গণমাধ্যমের বিরুদ্ধেও রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের আকস্মিক অভিযানের পর থেকেই গণমাধ্যম অফিস ও সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। এতে রয়টার্সের এক সাংবাদিকসহ এখন পর্যন্ত অন্তত ১১ জন সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন।
তারই ধারাবাহিকতায় সবশেষ বিবিসির সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালানো হলো। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাংবাদিকদের একটি দল ইসরায়েলে হামাসের আকস্মিক অভিযানের খবর সংগ্রহে কাজ করছে। গত কয়েকদিনের মতো শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) রাতে সাংবাদিক দলটি একটি গাড়িতে করে সংবাদ সংগ্রহের কাজ শেষে হোটেলে ফিরে যাচ্ছিল। কিন্তু তেল আবিব শহরে তাদের গাড়িটি থামিয়ে দেয় পুলিশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এরপর তাদেরকে গাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে নামানো হয় এবং মারধর করা হয়। এমনকি তাদের দিকে বন্দুক তাক করে জিম্মি পরিস্থিতিও তৈরি করে ইসরায়েলি পুলিশ।
সাংবাদিক দলটির নেতৃত্বে ছিলেন মোহান্নাদ তুতুনজি ও হাইছাম আবু দিয়াব নামে দুই সাংবাদিক। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তুতুনজি বলেন, পুলিশ গাড়ি থামানোর পর তারা রীতিমতো নিজেদেরকে সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দেন এবং পুলিশকে নিজেদের পরিচয়পত্রও দেখান।
এ সময় পরিস্থিতি অস্বাভাবিক দেখে ঘটনাটি ফোনে রেকর্ড করার চেষ্টা করেন তুতুনজি। কিন্তু তার ফোনটি টান দিয়ে নিয়ে ফেলে দেয় পুলিশ। এরপর তার ঘাড়ে আঘাত করা হয় বলেও জানান তিনি।
এ ঘটনায় কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিবিসি। ব্রিটিশ গণমাধ্যমটির এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘তেল আবিবে মোতায়েন করা আমাদের বিবিসি নিউজ আরবি টিমের একটি গাড়ি থামিয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। সাংবাদিকদের অবশ্যই ইসরায়েল-গাজার সংঘাতের বিষয়ে স্বাধীনভাবে সংবাদ সংগ্রহ ও পরিবেশন করতে দিতে হবে।’
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!