হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে থানা পুলিশের হেফাজতে রব্বানী (১৮) নামের একাধিক মামলার আসামির মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।
নিহত রব্বানী উপজেলার ১নম্বর ইউনিয়নের নাগেরখানা গ্রামের মৃত মহিউদ্দিন মিয়ার পুত্র।
থানা পুলিশ আত্মহত্যার দাবি করলেও মৃতের পরিবারের দাবি থানা হাজতে পুলিশের নির্যাতনে মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮.টায় অসুস্থ অবস্থায় বানিয়াচং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জানা যায়, ঘটনার দিন বিকেল ২.টার সময় বানিয়াচং থানার এ এস আই মনিরুল ইসলাম একাধিক চুরি ছিনতাই মামলার আসামি রব্বানী মিয়াকে বড় বাজারের মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি সৌধ এলাকা থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
আটকের সময়ই এস আই মনিরুল ইসলাম রব্বানীকে মারপিট করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
পুলিশ জানায়,রব্বানীর বিরুদ্ধে একাধিক চুরি ডাকাতির মামলা চলমান রয়েছে। সম্প্রতি তাকে নতুন ২টা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় সন্ধ্যায় পুলিশের অগোচরে সে হেফাজত খানার সিলিং ফ্যানে গলায় ফাঁস দেয়। তাৎক্ষনিক তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে রব্বানীর মা ফজর চানের দাবি পুলিশ আমার ছেলেরে মাইরধোর কইরা মাইরা ফালাইছে।আমার পোলা কেন ফাঁস লাগাবে,এটা একটা ষড়যন্ত্র।আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।
এব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন জানান,রব্বানীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে থানা পুলিশ কোনপ্রকার মারধর করেনি। ঘটনার সময় আমি থানায় ছিলামনা।এসে জানতে পারি ছেলেটি গলায় ফাঁস দিয়েছে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!