হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বানিয়াচং উপজেলার ২ নম্বর উত্তর-পশ্চিম ইউনিয়নের চানপাড়া ও ঘাগড়াকোনা গ্রামের লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় ২ ঘন্টাব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৫০ জন আহত হয়েছেন।
বানিয়াচং থানা পুলিশ ও হবিগঞ্জ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে দাঙ্গা নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসেন।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারী) দুপুর ২টায় হিউঙ্গার খলার(ফকির বাড়ীর) সামনে চানপাড়া গ্রাম ও ঘাগড়াকোনা গ্রামের লোকজনের মধ্যে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,চানপাড়া গ্রামের লোকজনের ধানের জমি থেকে কচি ধানের চারা ও বিল থেকে মাছ চুরির অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন যাবৎ ঘাগড়াকোনা গ্রামের লোকজনের বিরুদ্ধে।
এ নিয়ে প্রায় সময়ই উভয় গ্রামের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
মঙ্গলবার পুনরায় এধরনের অভিযোগ করায় ঘাগড়াকোনা গ্রামের লোকজনকে শায়েস্তা করতে উত্তেজিত হয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে চানপাড়া গ্রামের লোকজন ৩.৫ কিলোমিটার দূরে ঘাগড়া কোনা গ্রামের উপর হামলা চালায়। এসময় উভয় পক্ষ মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে
দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছেন।এতে ঘাগড়া কোনার ১০টি বসত ঘর ভাঙচুর হয়েছে বলে ঘাগড়া কোনার দাবী। সংঘর্ষে আহতদেরকে বানিয়াচং স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে চানপাড়া গ্রামের আমীর আলী জানান,আমার ছোট ভাই ইসলাম উদ্দিনের উপর ঘাগড়াকোনা গ্রামের রবি মিয়ার নির্দেশে অতর্কিতে হামলা চালিয়েছে গ্রামবাসী।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি চানপাড়া গ্রামের আব্দুল হালিম জানান, ঘাগড়াকোনা গ্রামের লোকজন প্রায় সময়ই আমাদের এলাকার লোকজনের বিল ও ধানের জমি থেকে চুরি করে। কিছু বল্লেই আমাদের লোকদের উপর হামলা চালায়।
উভয় পক্ষকে থামাতে গিয়ে আমি নিজেও আহত হয়েছি। আমাদের পক্ষেরই ৫০ জন আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষের সত্যতা স্বীকার করে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, চানপাড়া ও ঘাগড়াকোনা গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে এসেছে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!