আলাউদ্দীন হক।। গত ১৪-০৩-২০২৪ তারিখ সকাল ১১.৩০ টায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লাথানাধীন কুতুবপুর ইউনিয়নের বাদামতলাস্থ মো:আনোয়ার হোসেনের মেসার্স পুষ্পিতা এন্টারপ্রাইজে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একদল স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী প্রবেশ করে এবং ২লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে।মো:আনোয়ার হোসেন দাবিকৃত চাঁদা প্রদানে অস্বীকৃতি জানালে আগত সন্ত্রাসী বাহিনী তাকে মারতে উদ্যত হয় এবং এলাকায় কিভাবে ব্যবসা করে এই হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।পরবর্তীতে একই রাত আনুমানিক ১১.৫০ টায় চক্রটি তার ইন্টারনেট ব্যবসার ২ হাজার মিটার ক্যাবল ও ৫৫ টি মেশিন ভেঙে তছনছ করে,এই মর্মে মো:আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় ঘটনার ৭দিন পর একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগের ভিত্তিতে একটি প্রাথমিক তথ্য বিবরণী পেশ করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা এস.আই.হানিফ,যার ভিত্তিতে পুলিশ কয়েকজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেন।
এদিকে এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
অভিযোগের ২য় নাম্বারে থাকা মিজান মোল্লা বলেন ভিন্ন কথা।গণমাধ্যকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,ঘটনার সময় আমি মহামান্য রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে কর্মরত ছিলাম যার প্রমান তিনি পেশ করেন।এছাড়াও তিনি আরো বলেন আমি উত্তর-পূর্ব মুন্সিবাগ সমাজ উন্নয়ন পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছি।সামাজিক ভাবে আমাকে হেয় করার উদ্দেশ্যেই আমার নাম জড়ানো হয়েছে।এ বিষয়ে এফ.আই.আর. এ উল্লেখ করা ঘটনাস্থল বাদামতলী পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতির কাছে ভাঙচুরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান,অভিযোগে উল্লেখ করা পুষ্পিতা এন্টারপ্রাইজ আমার পার্শবর্তী দোকান,সেদিন ভাঙচুরের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি এ মর্মে আমরা বাদামতলী পঞ্চায়েত কমিটি একটি লিখিত বক্তব্য দিয়েছি। তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই.হানিফের কাছে ঘটনার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন,ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে,তদন্তে অভিযুক্তদের সম্পৃক্ততা না পেলে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তাদের নাম বাদ দেয়া হবে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!