আলাউদ্দীন হক।।
গত ২৬-০১-২০২৪ তারিখ রাত ৯ টায় ঢাকার ডেমরা থানাধীন কোনাপাড়ায় পুলিশ সদস্যের নির্যাতনের শিকার হন তার ২য় স্ত্রী জান্নাতুল নাদিয়া নামে এক নারী।ঐ নারী জানান,পোস্তগোলা ফাঁড়ির এ.এস.আই.মহসিন আলী ডেমরা কোনাপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত অবস্থায় তার সাথে পরিচয় হয়।পরিচয় থেকে তাদের মাঝে সক্ষতা গড়ে উঠে এবং কিছুদিন পর মহসিন আলী তাকে বিয়ে করেন। উল্লেখ মহসিন আলী পূর্বে বিবাহিত হওয়ায় প্রায়শই পারিবারিক কোলাহল লেগে থাকতো তাদের মাঝে,এবং নাদিয়াকে সে প্রচন্ড শারীরিক নির্যাতন করতো। এ নিয়ে ডি.সি.ওয়ারী বরাবর অভিযোগ করলে পুনরায় এমন কাজ না করার শর্তে বিষয়টি মীমাংসা হয়।মূলত মীমাংসার ব্যাপারটি ছিল
এ.এস.আই.মহসিন আলীর কৌশল।পরবর্তীতে ডি.সি.ওয়ারী বরাবর অভিযোগ করার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে এ.এস.আই.মহসিন আলী ২৬-০১-২০২৪ তারিখ এ তাকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে সি.এন.জি.তে তুলে নারকীয় তান্ডব চালায়।এলোপাথাড়ি কিল ঘুষির আঘাতে নাদিয়ার শরীরের বিভিন্ন অংশে ফুলে যায়, চোখে মারাত্মক জখম হয়।এক পর্যায়ে তাকে জোরপূর্বক কাজী অফিস এ নিয়ে তালাক নামায় সাক্ষর ও টিপ্ সই নেয়। দীর্ঘদিন যাবৎ এমন পৈশাচিক নির্যাতন চালালেও মহসিন আলীর হুমকির ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায়নি ঐ নারী ও তার পরিবার।এমন কি তার এসব কুকর্ম যেন ফাঁস না করা হয় এ জন্যে স্ত্রী নাদিয়ার নগ্ন ভিডিও ধারণ করে রাখে তার মোবাইলে,মামলা করলে বা মিডিয়ায় বিষয়টি জানাজানি হলে তার এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয় মহসিন আলী। অপরদিকে মহসিন আলী নিজেই পুলিশের এ.এস.আই.হওয়ায় ব্যাপারটি নিয়ে কথা বলতে সাহস পায়না প্রতিবেশীরা।এবং পুলিশি হয়রানির ভয়ে নাদিয়াকে বাসা ছেড়ে দিতে বলেন বাড়ির মালিক।
বর্তমানে একদিকে পুলিশি হয়রানির ভয়,অপরদিকে নির্যাতনের বিচার চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ভুক্তভুগি এই নারী।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!