দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলো যথাক্রমে, ১/ জয়পুরহাট সদর উপজেলার দস্তপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত শামসুদ্দিনের ছেলে বাচ্চু মিয়া, ২/ গণিরাজের ছেলে এমরান আলী ওরফে নুহ, ৩/ আউশগাড়া গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে বাবু মিয়া।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘটনার প্রায় ২০ বছর পুর্বে জয়পুরহাট সদর উপজেলার দাদড়া গ্রামের বুলু মিয়া (৪০) একই উপজেলার দস্তপুর গ্রামের তাহেরা বেগম কে বিয়ে করে সেখানেই ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করত। ২০০৫ সালের ৩ এপ্রিল রাত সাড়ে সাতটার দিকে বুলু মিয়া একটি বাঁশের লাঠি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেন নি। পরদিন ৪ এপ্রিল সকালে দস্তপুর গ্রামের আমজাদ রাজের বাড়ি থেকে দুইশ গজ দুরে আমজাদের বায়ো গ্যাস তৈরীর ট্যাংকিতে রক্তের দাগ দেখতে পান স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ট্যাংকির ভিতর থেকে রক্তাত্ব অবস্থায় বুলু মিয়ার গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় নিহতের ভাই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ২০০৫ সালের ৪ এপ্রিল তিন জনের নাম উল্লেখ করে জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা রুজু করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালতের বিচারক আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায়টি দেন।
উক্ত মামলায় সরকারি পক্ষের কৌঁসুলি (আইনজীবী) ছিলেন এডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল পিপি ও উদয় সিংহ এপিপি । আর আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট নন্দকিশোর আগরওয়ালা।
গণমাধ্যম কর্মীদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (অ্যাডভোকেট) নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!