প্রধান প্রতিবেদকঃ
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার আটোমোর গ্রামে নুরুল ইসলাম নামের এক ধর্ষণ মামলার বৃদ্ধ কারাবন্দি আসামীর মৃত্যু হয়েছে। ওই আসামীকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে গ্রেফতারের কারনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান বলে দাবী করে তার মৃত্যুর জন্য প্রতিপক্ষ মামলার বাদীকে দায়ী করে। ষড়যন্ত্রকারীদের শাস্তির দাবীতে বৃহস্পতিবার সকালে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাকাবাসী।

জানা গেছে, কচুয়া উপজেলার পাথৈর ইউনিয়নের আটোমোর গ্রামে গত ২৯ সেপ্টেম্বর এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে একই গ্রামের জায়েদ আলীর স্ত্রী ভিকটিমের দাদি বিলকিস বেগম একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৮,তারিখ: ৩০.১০.২০২৩।

ওই মামলার প্রেক্ষিতে নুরুল ইসলামকে সাচার ফাঁড়ি পুলিশ গ্রেফতার করে চাঁদপুরের জেল হাজতে প্রেরণ করলে তিনদিন পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে কারা কর্তৃপক্ষ নুরুল ইসলামকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করলে মঙ্গলবার দুপুরে (২৮ নভেম্বর) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

নিহতের স্ত্রী মর্জিনা বেগম, মেয়ে সেলিনা বেগম, শাহিদা বেগম, রাশেদা বেগম, কুহিনুর আক্তার, নুরজাহান ও ছেলে মনির হোসেন জানান, আমাদের সাথে একই গ্রামের বিলকিস বেগম গংদের সাথে পূর্ব থেকে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ ও মামলা মোকদ্দমা রয়েছে। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে নুরুল ইসলামকে ৫ পরিবারের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রে ধর্ষণ মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এতে ভয়ে ও আতঙ্কে নুরুল ইসলাম স্ট্রোক করে চিকিৎসাধীন মারা যান বলে তার পরিবার ও এলাকাবাসী দাবী করেন। তারা এ হত্যার জন্য বিলকিস বেগম গংদের দায়ী করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিত ভাবে কতিপয় লোকজনের ষড়যন্ত্রে ভিক্ষুক বৃদ্ধ নুরুল ইসলাম মিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। শুক্রবার সকালে জানাজা শেষে মরহুমের লাশ আটোমোর গ্রামের পারিবারিরক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এদিকে মামলার বাদী বিলকিস বেগমের বক্তব্য নিতে তার বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। এতে স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবুল মিয়াজী, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা কামাল পারভেজ মিয়াজী, বাবুল হোসেনসহ ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।