হাজীগঞ্জ ব্যুরো :
ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ও উৎসবমূখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে হাজীগঞ্জ বাজার টাইলস্ ও স্যানেটারী ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) প্রথমবারের অনুষ্ঠিত এ দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে সদস্যদের প্রতেক্ষ্য ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ইউসুফ প্রধানীয়া সুমন। তিনি আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৫ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী গাজী মো. বিল্লাল হোসেন ছাতা প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন, মো. খোরশেদ আলম মিয়াজী। তিনি হরিণ প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. সাইফুল ইসলাম হীরা দেয়ালঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ২০ ভোট এবং এই পদে ৫ ভোট বাতিল হয়। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন জানে আলম রাসেল। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩০ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. মানিক হোসেন সরদার মাছ প্রতীকে পেয়েছেন ২৮ ভোট এবং এই পদে ১ ভোট বাতিল হয়।
দপ্তর সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো. আজাদ হোসেন। তিনি কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৩৫ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. আবদুল আউয়াল তালা-চাবি প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ ভোট। প্রচার সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি মোবাইল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৭ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম মিয়াজী আম প্রতীকে পেয়েছেন ২০ ভোট এবং এই পদে ২ ভোট বাতিল হয়। এছাড়া নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় কোষাধ্যক্ষ পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় মো. আরিফ এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে সজল দেবনাথ নির্বাচিত হয়েছেন।
এর আগে শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত হাজীগঞ্জ বাজারস্থ হোয়াইট হাউজে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ করা হয়। এতে একজন সদস্য পবিত্র ওমরা হজ্জ্বে থাকায় ৬০ ভোটের মধ্যে ৫৯ ভোট কাস্ট হয়। এরপর ভোট গণনা শেষে প্রার্থীদের উপস্থিতিতে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাংবাদিক মনিরুজ্জামান বাবলু।
এ সময় নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব (নির্বাচন কমিশনার) ও প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন সাংবাদিক মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্ এবং নির্বাচন কমিশনার ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন মো. বিল্লাল হোসাইন পাটওয়ারী।
এ দিকে নির্বাচনকে ঘিরে টাইলস্ ও স্যানেটারী ব্যবসায়ীদের মাঝে আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ভোটগ্রহণের দুইদিন পূর্বেই প্রার্থীদের ব্যানার, পেস্টুন ও পোস্টারে চেয়ে গেছে ভোট কেন্দ্রস্থলের আশ-পাশ। ভোটের দিন কেন্দ্রের বাহিরে প্রার্থীদের কর্মী ও সমর্থকদের শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পরিবেশ।
এছাড়া নির্বাচনী প্রতীক পাওয়ার দিন থেকে বাজারের বিভিন্ন স্থানে ব্যানার, পেস্টুন ও পোস্টার সাঁটিয়ে এবং প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা লিপলেট নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন, করেছেন কুশল বিনিময়, চেয়েছেন ভোট। অবশেষে ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে প্রার্থী ও ভোটারদের প্রতিক্ষার পালা শেষ হলো।
কয়েকজন ভোটারের সাথে কথা হলে তারা জানান, প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পেরে তারা আনন্দিত। তারা আশা করেন, নির্বাচিত নেতৃবৃন্দ হাজীগঞ্জ বাজার টাইলস্ ও স্যানেটারী ব্যবসায়ী সমিতিকে আরো সমৃদ্ধ করবেন।
নির্বাচন চলাকালীন সময়ে প্রার্থীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, হার-জিত থাকবেই। ফলাফল যেমন হোক, সবাই আনন্দচিত্তে তা মেনে নিবেন। তারা বলেন, আমরা সবাই ভাই-ভাই, সবাই ব্যবসায়ী। একে অপরে পাশে আছি এবং থাকবো। এসময় তারা স্বচ্ছতার সাথে এবং উৎসবমূখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের প্রতি ধন্যবাদ জানান। যা ভোটগ্রহণ শেষে তাদের কথা ও কাজের মিল পাওয়া গেছে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!