মতলব দক্ষিন উপজেলার ৫নং উপাদী উত্তর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে বাদীপক্ষের নাম তদন্ত প্রতিবেদনে না দিয়ে বিবাদীর পক্ষে পক্ষ পাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে ।
জানাযায় উপজেলার উপাদী উত্তর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ধুলায়াউরা গ্রামের মৃত আঃ খালেক মিজির ছেলে প্রবাসী মজিবুর রহমানের সাথে একই বাড়ীর মৃত নুরু মিজি গংদের দীর্ঘদিন যাবত সম্পত্তিগত বিরোধ চলে আসছে এরই ধারাবাহিকতা বিরোধকৃত সম্পত্তিতে জায়গা পরিমাপ না করে জোর পুর্বক বিল্ডিং নির্মান করতে গেলে বাধা দেয় প্রবাসীর স্ত্রী ফাতেমা বেগম। বাধা উপেক্ষা করে নুরু মিজি গংরা জোর পুর্বক বিল্ডিং এর কাজ করতে চাইলে চাঁদপুর আদালতে নুরু মিজির ছেলে সুরুজ মিজি (৩৫) বিল্লাল মিজি (৪০) দুলাল মিজি (৫০) ও মতু মিজির ছেলে সেলিম মিজিকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেন প্রবাসী মজিবুর রহমানের পক্ষে তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম । আদালত থেকে ওই মামলার তদন্ত দায়িত্ব পান মতলব দক্ষিন থানা ও উপাদী উত্তর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল মালেক । তিনি সরজমিনে তদন্ত করে বাদী পক্ষের নাম না দিয়ে বিবাদী পক্ষের দখল দেখিয়ে প্রতিবেদন জমা দেয় আদালতে ।অন্যদিকে পুলিশের এসআই ফিরোজ মোল্লা তার তদন্ত প্রতিবেদনে বাদী ও বিবাদীর নাম উল্লেখ্য করেন । বাদীর স্বজন সবুজ বলেন ভূমি কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া আমাদের কাগজ আনতে গেলে আমার কাগজ খুজে না পেয়ে পর আসতে বলেন ।
এ বিষয়ে প্রবাসী মজিবুর রহমানের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বলেন ধুলায়াউরা মৌজার ৪৯ খতিয়ান, হালদাগ ৬৭/৬৮/৭১/৭২ ও কিছু অংশ ক্রয় সুত্রে ও কিছু অংশে ওয়ারিস সুত্রে মালিক কিন্তু বিবাদীরা জায়গা পরিমাপ না করে জোর করে জায়গায় বিল্ডিং করায় আমি আদালতে মামলা করলে ভূমি কর্মকর্তা তদন্তে আমাদের নাম ও দখলদার না দিয়ে টাকা খেয়ে বিবাদীর পক্ষে রিপোর্ট দিয়েছে । আমি আদালতে না রাজি দিয়ে আবারও তদন্ত চাইবো । আমি ভূমি কর্মকর্তার বিচার চাই । উপাদী উত্তর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল মালেক বলেন আমি সরজমিনে যা পেয়েছি প্রতিবেদনে তাই দিয়েছি । বিবাদীর কাছ থেকে কোন টাকা নেইনি ।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!