ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের নাটকীয় জয় সিরিজে উত্তেজনা বজায় রাখল। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গ্রেনাডায় শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) নিকোলাস পুরানের ৮২ রানের ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০ ওভারে তোলে ২২৬ রান। এই রান টপকে যাওয়া ছিল ইংল্যান্ডের জন্য একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ।
ইংল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি ফিল সল্ট ও জস বাটলার দারুণ শুরু দেন। ৬৯ বলে ১১৫ রানের জুটিতে তারা ইংল্যান্ডকে ম্যাচে ফেরান। বাটলারের ৫১ রানের পর সল্টের একক প্রচেষ্টায় ইংল্যান্ড জয়ের কাছাকাছি পৌঁছায়। ৫৬ বলে ১০৯ রানের অপরাজিত ইনিংসে সল্ট ৯টি ছক্কা মারেন।
শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য দরকার ছিল ২১ রান। ডেভিড উইলি বল করতে আসেন। প্রথম বলটি ওয়াইড হয়। দ্বিতীয় বলে চার মারেন সল্ট। তৃতীয় বলে দুই রান নেন তিনি। চতুর্থ বলে ছক্কা মারেন সল্ট। পঞ্চম বলে ওয়াইড হয়। ষষ্ঠ বলে চার মারেন সল্ট। সপ্তম বলে আরেকটি ছক্কা মারেন তিনি। অষ্টম বলে ওয়াইড হয়। নবম বলে চার মারেন সল্ট। দশম বলে দুটি রান নিয়ে ইংল্যান্ড জয় নিশ্চিত করে।
শেষ ওভারে ২১ রানের জয়ের লক্ষ্য তাড়া করে ইংল্যান্ডের জয়ের রেকর্ডটি যৌথভাবে। গত মাসে ভারতের বিপক্ষে শেষ ওভারে ২১ রানের চ্যালেঞ্জে অস্ট্রেলিয়া জিতে যায় গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ব্যাটে।
এই ম্যাচে দুই দল মিলিয়ে মোট ছক্কা হয়েছে ৩৪টি। এর চেয়ে বেশি ছক্কা দেখেছে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আর কেবল একটি ম্যাচ। গত মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই ম্যাচে সেঞ্চুরিয়নে হয়েছিল ৩৫ ছক্কা।
ম্যাচের মূল দিকগুলো:
নিকোলাস পুরানের ৪৫ বলে ৮২ রানের ইনিংস ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বড় স্কোর এনে দেয়। ফিল সল্টের ৫৬ বলে ১০৯ রানের অপরাজিত ইনিংস ইংল্যান্ডকে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছাতে সাহায্য করে। শেষ ওভারে ডেভিড উইলি ও ফিল সল্টের দারুণ পারফরম্যান্সে ইংল্যান্ড ২১ রানের জয় নিশ্চিত করে।
ম্যান অব দা ম্যাচ:
ফিল সল্টের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের জন্য তিনি ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন।
টস ও ব্যাটিং:
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ক্যারিবিয়ানরা শুরুটা ভালো করতে পারেনি। প্রথম ওভারে মইন আলির বলে দুটি বাউন্ডারি মারলেও ওই ওভারেই ফিরে যান আগের ম্যাচের নায়ক ব্র্যান্ডন কিং। পরের ওভারে কাইল মেয়ার্সকে শূন্যতেই ফেরান রিস টপলি। তবে ৮ রানে ২ উইকেট হারিয়ে দমে যায়নি তারা। নিকোলাস পুরান ও শেই হোপ শুরু করেন পাল্টা আক্রমণ। তৃতীয় উইকেটে ৫৪ রান তোলেন তারা ৬.১ ওভারে। ১৯ বলে ২৬ করে হোপ বিদায় নিলেও রভম্যান পাওয়েলকে নিয়ে আরেকটি কার্যকর জুটি গড়েন পুরান। এই জুটিতে আসে ৩২ বলে ৫৮ রান। পাওয়েল ফেরেন ২১ বলে ৩৯ রান করে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ২২২/৬ (কিং ৮, মেয়ার্স ০, পুরান ৮২, হোপ ২৬, পাওয়েল ৩৯, রাদারফোর্ড ২৯, রাসেল ৮*, হোল্ডার ১৮*; মইন ৩-০-২৬-১, টপলি ৪-০-৩২-১, অ্যাটকিনসন ২-০-৩৩-০, লিভিংস্টোন ২-০-২৭-০, রাশিদ ৪-০-৩২-২, মিলস ২-০-৩২-০, কারান ৩-০-৩৪-২)।
ইংল্যান্ড: ১৯.৫ ওভারে ২২৬/৩ (সল্ট ১০৯*, বাটলার ৫১, জ্যাকস ১, লিভিংস্টোন ৩০, ব্রুক ৩১*; আকিল ৪-০-৪৪-০, হোল্ডার ৪-০-৫২-১, রাসেল ৩.৫-০-৫০-১, মোটি ৪-০-৩০-১, জোসেফ ৪-০-৫০-০)।
ফল: ইংল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তিনটি শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!