ম্যাচটা ছিল ইউসিএলের সবচেয়ে সফল ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ।এদিন উয়েফার অনুমতি নিয়ে স্টেডিয়ামের ছাদ বন্ধ করেছিল লস ব্লাঙ্কোসরা। উদ্দেশ্য ছিল বার্নাব্যুর সমর্থকদের গর্জনে প্রতিপক্ষকে দুর্বল করে তোলা। তবে তাদের এই পরিকল্পনাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে খেলতে শুরু করে ম্যানচেস্টার সিট।
ম্যাচের শুরুতেই জ্যাক গ্রিলিশকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন চুয়ামেনি, ফ্রি কিক পেয়ে যায় সিটি। ফ্রি কিক থেকে সিটির হয়ে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল করেন বার্নার্ডো সিলভ। এরপর দু'দলই ধীরে ধীরে আক্রমণের ধার বাড়ায় ফলে ১২তম মিনিটে কামভাঙ্গার শট সিটি ডিফেন্ডার ডিয়াজ এর পায়ে লেগে জালে জড়ালে আত্মঘাতী গোলে সমতা ফেরে ম্যাচে।
এ গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই ২ মিনিটের ব্যবধানে আরো এক গোল করে বসে মাদ্রিদ, এবার আর আত্মঘাতী নয় নিজের দক্ষতায় গোল করেন ব্রাজিল ষ্টার বয় রোড্রিগো। দুই দলই সমান তালে খেলতে থাকায় ম্যাচের বাকি সময় কোনো গোল না হলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় সিটিজেনরা।
তবে বিরতি থেকে ফিরেই বেশ আক্রমণাত্মক হয়ে খেলতে শুরু করে সিটি। ম্যাচের ৬৬তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে এক দুর্দান্ত শটে গোল করে সিটিকে সমতায় ফেরান ফিল ফোডেন। এরপর ৭১তম মিনিটে আবার রিয়াল এর জাল কাঁপান গেভার্ডিওল। ম্যাচে আবার এগিয়ে যায় সিটি। তবে এ ম্যাচের রোমাঞ্চ যেন শেষ হবার নয় ,৮৯তম মিনিটে বক্সের কোনাকুনি জায়গা থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান ভালভার্দে। বাকিটা সময় কোনো দলই গোল করতে না পাড়ায় ৩-৩ গোল এর সমতা নিয়ে মাঠ ছারে দুই দল।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!