অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আজ মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত দিন। ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে এই মহারণে ভোট দেবেন মার্কিন নাগরিকেরা। সারা দেশের ৫০টি অঙ্গরাজ্য ও ওয়াশিংটন ডিসির ভোটাররা আজ নিজেদের ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্ট নির্ধারণে ভোট প্রদান করবেন।
এ বছর প্রার্থী তালিকার কেন্দ্রে রয়েছেন ডেমোক্র্যাটদের কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকানদের ট্রাম্প। তাদের সাথে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে রয়েছেন যথাক্রমে টিম ওয়ালজ এবং জে ডি ভান্স। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন গ্রিন পার্টির জিল স্টেইন, লিবার্টারিয়ান পার্টির চেজ অলিভার, স্বতন্ত্র প্রার্থী কর্নেল ওয়েস্ট এবং রবার্ট কেনেডি জুনিয়র।
এই নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের চাবিকাঠি হিসেবে বিবেচিত সাতটি দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য — পেনসিলভানিয়া, অ্যারিজোনা, নেভাডা, উইসকনসিন, নর্থ ক্যারোলাইনা, মিশিগান এবং জর্জিয়া। প্রার্থীরা শেষ মুহূর্তে এসব অঙ্গরাজ্যে তীব্র প্রচারণা চালিয়েছেন।
গতকাল পেনসিলভানিয়া এবং মিশিগানে নির্বাচনী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কমলা হ্যারিস। সেখানে তিনি মার্কিন মুসলিম এবং আরব ভোটারদের প্রতি গাজা যুদ্ধ বন্ধে তার সর্বাত্মক চেষ্টা করার প্রতিশ্রুতি দেন। এদিকে, ট্রাম্প নর্থ ক্যারোলাইনা, পেনসিলভানিয়া এবং মিশিগানে সমাবেশে যোগ দিয়ে বলেন, "দেশের ভাগ্য এখন আপনাদের হাতে।"
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অবস্থা অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ। নিউইয়র্ক টাইমসের জরিপ অনুসারে, দেশজুড়ে ৪৯ শতাংশ মানুষ কমলা হ্যারিসকে এবং ৪৮ শতাংশ ট্রাম্পকে সমর্থন করেছেন। এছাড়া দোদুল্যমান রাজ্যগুলোর মধ্যে কয়েকটি স্থানে ট্রাম্প এগিয়ে থাকলেও, মিশিগান ও উইসকনসিনে কমলা সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে আছেন।
যদি ভোটগ্রহণ সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়, তবে স্থানীয় সময় অনুযায়ী আগামীকাল রাত বা ৬ নভেম্বর দিনের মধ্যে চূড়ান্ত ফলাফল জানা যাবে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য একজন প্রার্থীকে ৫৩৮ ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে কমপক্ষে ২৭০টি ভোট পেতে হবে। আগামী বছরের জানুয়ারিতে নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণের মাধ্যমে হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বিজয়ী।
এবারের নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের কাছে ভবিষ্যৎ নির্ধারণের মঞ্চ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। কাদের হাতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব থাকবে, তা নির্ধারণ করতে এই নির্বাচনে ভোটাররা অত্যন্ত সতর্ক এবং সক্রিয়।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!