আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি, আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। শেষ মুহূর্তের প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোতে সভা-সমাবেশ, রেডিও টক শো এবং পডকাস্টে অংশ নিচ্ছেন তাঁরা।
বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, নির্বাচনী লড়াইয়ে দুই প্রার্থীর মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। এবার যদি কমলা হ্যারিস বিজয়ী হন, তাহলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইতিহাস গড়বেন। তাঁর প্রচারণা উদারপন্থী ভোটারদের পুনরুজ্জীবিত করেছে। নির্বাচনের জন্য তাঁর তহবিলে জমা পড়েছে ৬৭.১ কোটি ডলার, যা ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রায় তিনগুণ।
এবিসি নিউজ ও ইপসোসের সাম্প্রতিক জরিপে দেখা যায়, সম্ভাব্য ভোটারদের মধ্যে কমলা হ্যারিস ২ শতাংশ ব্যবধানে ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। কমলা পেয়েছেন ৪৯ শতাংশ ভোটারের সমর্থন, যেখানে ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৭ শতাংশ। নির্বাচনের ফলাফলে ইলেক্টোরাল কলেজের ভূমিকা বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
পুরুষ ভোটারদের মধ্যে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা বেশি থাকলেও, নারী ভোটাররা কমলা হ্যারিসের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন। জরিপে দেখা যাচ্ছে, ৫০ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী নারীরাই কমলার প্রধান ভোটব্যাংক। এই বয়সী নারী ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৬ কোটি ৩০ লাখ, যাঁদের ৯৭ শতাংশ নিয়মিত ভোট দেন।
সাম্প্রতিক জরিপে উল্লেখ করা হয়েছে, পুরুষদের মধ্যে একটি ধারণা রয়েছে যে, ডেমোক্রেটিক পার্টি পুরুষদের চেয়ে নারীর স্বার্থ রক্ষায় বেশি মনোযোগী। এটি ডেমোক্রেটিক পার্টির জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে। অন্যদিকে, নারী ভোটারদের মাঝে কমলার ব্যাপক সমর্থন তাঁর জয়ের সম্ভাবনাকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে।
আরো জানা গেছে, গত ১৬ দিনে নির্বাচনী প্রচারে দুই প্রার্থী ব্যয় করেছেন প্রায় ৫০ কোটি মার্কিন ডলার। বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্ক এবার ট্রাম্পের পক্ষে ১১ কোটি ৯০ লাখ ডলার বরাদ্দ করেছেন, অন্যদিকে কমলার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়ে মার্কিন ইতিহাসে কি কমলা হ্যারিস প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হবেন? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে অপেক্ষা আরও এক সপ্তাহ।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!