BDCN24 হল সংবাদ, মতামত এবং বিনোদনের জন্য একটি বাংলাদেশ ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি পাঠক এবং শ্রোতাদের রাখার জন্য একটি ২৪/৭/৩৬৫ এর প্ল্যাটফর্ম
বাংলাদেশে ভারত ও পাকিস্তান থেকে আমদানি করা পোশাকের অবিশ্বাস্য দামের একটি চিত্র সামনে এসেছে। আমদানির কাগজপত্র অনুযায়ী, ভারতীয় উন্নতমানের থ্রি-পিসের দাম মাত্র ৪৮ টাকা, সাধারণ মানের থ্রি-পিসের দাম ৪০ টাকা, এমনকি মেয়েদের ‘টপস’ পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১১ টাকায়! শাড়ির ক্ষেত্রেও একই চিত্র, উন্নতমানের ভারতীয় শাড়ির দাম দেখানো হয়েছে মাত্র ৬০ টাকা, আর পাকিস্তানি পাঞ্জাবির দাম মাত্র ৬৫ টাকা!কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, বাজারে এসব পোশাকের দাম আমদানি মূল্যের তুলনায় ৫০ থেকে ১০০ গুণ বেশি। যেমন, চট্টগ্রামের এক শপিং মলে পাকিস্তানি থ্রি-পিসের দাম ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত রাখা হচ্ছে!অবিশ্বাস্য এই দাম কীভাবে সম্ভব?জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্যভান্ডারে দেখা গেছে, ভারত ও পাকিস্তান থেকে আমদানিকৃত পোশাকের এই দামে প্রবেশ করা হয়েছে। বিশেষ করে ঈদের বাজারের জন্য এসব পোশাক আনা হয়েছে।বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আমদানির সময় পোশাকের মূল্য এত কম দেখাচ্ছে যে, তা কাস্টমস কর্মকর্তাদের কাছেই অবিশ্বাস্য ঠেকেছে। ফলে তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১২ গুণ বেশি দাম নির্ধারণ করে শুল্কায়ন করছে।এক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান অনয়া ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ১৬ মার্চ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে পাকিস্তান থেকে মাত্র ৬৫ টাকায় পাঞ্জাবি আমদানি করেছে। তবে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এর মূল্য ৬১০ টাকা ধরে শুল্কায়ন করেছে এবং প্রতি পিসে ৬২২ টাকা শুল্ক আদায় করেছে।